হোম > রাজনীতি

এই সরকার বর্গিদের সরকার: ফখরুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে বর্গিদের সরকার বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির আয়োজনে ‘দুর্নীতি জ্বালানি সংকটের উৎস’ শীর্ষক সেমিনার সভাপতির বক্তব্যে এই কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলায় আমাদের মায়েরা গান শোনাতো, “খোকা ঘুমাল, পাড়া জুড়াল বর্গি এল দেশে। ” আজ এই সরকার বর্গিদের ভূমিকা পালন করছে। এখন আমাদের বাচ্চাদের ঘুম পাড়াতে হবে “আওয়ামী লীগ এল দেশে” এই কথা বলে।’ 

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ দেশের মানুষ জ্বলছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই সরকার দেশকে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। কোথাও কথা বলতে পারবেন না, লিখতে পারবেন না, কোথাও যেতে পারবেন না। এমনকি গতকালও (রবিবার) প্রধানমন্ত্রী ধমক দিয়ে বলেছেন, “আহ্লাদ নির্বাচন করবেন। ” অর্থাৎ, তাঁর ভাবখানা এমন যে—আপনারা আবার নির্বাচন করার কে?’ 

 ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে দলীয় প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেওয়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যকে কটাক্ষ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সিকিউরিটি টেন্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রশ্নটা হচ্ছে এত টেন্ট তৈরি করে থাকতে হচ্ছে কেন? বারবার এই কথা বলছেন কেন—আবার সেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে, চক্রান্ত হচ্ছে? তাহলে বিগত ১৫ / ১৬ বছর ধরে কী দেশ আপনারা চালালেন? আপনারা বলেন যে, টেররিজমকে আপনারা উধাও করে দিয়েছেন। সেখান থেকে আবার সেই চিন্তা আসছে কেন?’ 

এই সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাতিরঝিল থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় সুমন শেখের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের প্রতিবাদ এর উদাহরণ। হবিগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের দাবি আদায়ের কথাও বক্তব্যে তুলে ধরেন বিএনপির এই নেতা। 

একধাপে জ্বালানি তেলের দাম ৫১ শতাংশ বাড়ানোর পরিবর্তে সরকারের অন্য বিকল্প পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল বলে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ স্থানী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, গভীর রাতে জ্বালানির দাম ব্যাপকভাবে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অর্থনীতিকে সংকটে ফেলেছে।’ 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার জনকল্যাণের চেয়ে দলীয় ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় সব খরচ দিয়ে জনগণকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এই দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা সরকারের অধীনে অর্থনীতিকে চাঙা করা সম্ভব নয়। কারণ, তাদের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি নেই। বিশ্বের যেকোনো দেশের সরকার ধনীদের থেকে গরিবেদের প্রতি বেশি মনোযোগী থাকে। গরিবেরা যেন সমাজে একটা সুন্দর পরিবেশে বসবাস করতে পারে তাঁরা সেটা নিশ্চিত করে এবং এই দায়িত্ব পালন করাই হলো সরকারের কাজ।’ বাংলাদেশে এটার উল্টোটা করা হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি। 

দলের পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল প্রবন্ধের ওপর বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বাজারের মূল্য অনুযায়ী বাংলাদেশের বাজারে জ্বালানি তেলের যে রিটেইল প্রাইজ, সেখানে সমস্ত ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করে দাম সমন্বয় করলে তেলের দাম শতকরা আট শতাংশ কমতে পারে। ৫১ শতাংশ বাড়তে পারে না। তাহলে যেটা দাঁড়াচ্ছে সেটা হলো, সরকার অন্যায়ভাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে সত্যিকার অর্থে ৫১ শতাংশ নয়, ৫৯ শতাংশ।’ 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, ‘এই সরকার সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নীতিমালা তৈরি করেছে। যেখানে জ্বালানি ও বিদ্যুৎকে রাজনৈতিক পণ্য বানিয়েছে। তাঁরা জ্বালানি তেলের দাম বাজার মূল্যে নির্ধারণ না করে পলিটিক্যালি মূল্য নির্ধারণ করেছে। এটা পলিটিক্যাল কমোডটি হয়ে গেছে।’ 

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা কামাল মজুমদার, জাকির হোসাইন খানসহ আরও অনেকে। 

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজার প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

হাসপাতালে খালেদার শেষ দিনগুলো

দেড় দশকের ছায়াসঙ্গী ফাতেমা

ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধাদের স্মৃতিতে খালেদা জিয়া যেমন

মনোনয়নপত্র দাখিলে শীর্ষে বিএনপি, এরপর জামায়াত

হাদির মায়ের চিকিৎসার খোঁজ নিতে হাসপাতালে জামায়াত আমির

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দায় শেখ হাসিনা এড়াতে পারে না: রাশেদ খান

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

বিএনপির সব পদ থেকে রুমিন ফারহানাকে বহিষ্কার