হোম > রাজনীতি

সরকার নির্বাচনের কাজ ভালোভাবে করতে পারবে কি না, তার গ্যারান্টি নেই: মান্না

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রবাসীদের ডাক আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরকার এই (ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন) নির্বাচনের কাজ যে ভালোভাবে করতে পারবেন কি না—তার গ্যারান্টি পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগে লিবিয়ায় জেলে বন্দী বাংলাদেশিদের মুক্তির দাবিগুলো আদায়ের কাজে কিছু করবে বলে মনে হয় না বলে মনে করেন তিনি। নির্বাচন করাটা একটা বিরাট কাজ, যা ভালোভাবে করতে পারার কোনো গ্যারান্টি নেই। সরকার সমস্ত প্রার্থীর নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না, সেই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মাহমুদুর রহমান মান্না।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রবাসীদের ডাক আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে লিবিয়া ভিরগানাম জাওয়াইয়া, ত্রিপোলি কারাগারে বন্দী ২৬ জনের মুক্তির দাবিতে এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের রাজনীতির একটা বড় সমস্যা। আমি জানি না সম্ভবত সারা পৃথিবীতেই রাজনীতি এ রকম হয় কি না। রাজনীতিতে ধাপ্পাবাজি খুব চলে। বক্তৃতার সময় এত সব কথা বলা হয়, এত বড় বড় অঙ্গীকার করা হয়, বড় বড় স্বপ্ন দেখানো হয়—যা বাস্তবের সঙ্গে যার কোনো সম্পর্কই নাই।’

লিবিয়াতে বন্দী পরিবারের সদস্যদের দুঃখ-দুর্দশার কথা ও তাঁদের মুক্তির কথা টেনে এনে সরকারের উদ্দেশে মান্না বলেন, ‘এই আপনাদের মতো যারা আজকের এই অনুষ্ঠানে এসেছেন, আক্রান্ত পরিবার বা শোকাহত পরিবার তাদের মতো—এ রকম অনুষ্ঠান অনেক কিছু হচ্ছে। ’২৪-এর অভ্যুত্থানের একটা অন্যতম স্লোগান ছিল, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ করব। অথচ আমাদের চাকরির জীবনে কত যে বৈষম্য আছে। বেতনের ক্ষেত্রে কত যে বৈষম্য আছে। বিচারের ক্ষেত্রে কত যে বৈষম্য আছে। এগুলোকে কেউ আলাদা করে উনি (প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস) কোনো কাজ করেছে বলে আমরা জানিও না। এই দাবিগুলো আদায় করবার কাজে বর্তমান সরকারের কিছু করবে বলে মনে করেন আপনারা?’

বৈষম্য টেনে নির্বাচন করাটাও একটা বিরাট কাজ বলে উল্লেখ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘সরকার নির্বাচনের কাজ ভালোভাবে করতে পারবে কি না তার গ্যারান্টি নেই। কাল রাত থেকে খবর ভাসছে, হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন। রাতে কয়েকজন আমাকে ফোন করেছে। ও কি আসলে বেঁচে আছে? এ রকম আরও ঘটনা ঘটতে পারে বলে লোকে বলছে।’

মান্না বলেন, ‘সামনের সম্ভাব্য ঘটনা সামাল দিতে পারবে সরকার? সরকার অযথা বলে সমস্ত প্রার্থীদের আমরা নিরাপত্তা দেব। আমি মাহমুদুর রহমান মান্না আমার একার নিরাপত্তা দিতে পারবে? তারা আমি গ্রামে যতগুলো জায়গায় যাব, যেতে হয় নির্বাচন করলে, সংগঠন করলে গ্রামে গ্রামে, আমার পেছনে পুলিশ ঘুরতে পারবে? আমার সিকিউরিটি কীভাবে হবে; আর ৩০০টা ক্যান্ডিডেট ৩০০টা আসন কতগুলো প্রার্থী হবে তাঁদের হিসাব করে কথা বলছেন কি?’

সরকার যদি সাপোর্ট শুধু উইথড্র করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনই করতে পারবে না বলে মন্তব্য মান্নার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে চালুই আছে নির্বাচন শিডিউল ঘোষণা হওয়ার পর দেশের সবকিছু চলে যায় নির্বাচন কমিশনের হাতে। কথাটা ঠিক নাকি বলার জন্য বলা? আমি তো বাস্তবে দেখি এগুলো বলা হয়, কিন্তু এ রকম হয় না। সরকারের সাপোর্ট ছাড়া এগুলো কোনো কাজেই লাগে না। সরকার যদি সাপোর্ট জাস্ট উইথড্র করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনই করতে পারবে না।’

মানব পাচারের কথা বলতে গিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘মানবের ব্যবসা, আদম ব্যবসা, মানব পাচার কিংবা হিউম্যান রিসোর্স যে রকম করে বলেন না কেন—এইখানে তো একটা ভয়াবহ দস্যুতা চলছে। প্রায় শুরু থেকে কোনো সরকার এটাকে মানবিক করবার চেষ্টা করেছেন? করেননি। আমরা কত বড় সংস্কারের আন্দোলন করলাম। ভূমধ্যসাগরের মধ্যে মানুষ ডুবে মারা যায়।’

বন্দী থেকে মুক্ত হতে চাওয়া পাঠানো এক চিঠির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই চিঠি পড়বার পরে কী মনে হয় আপনাদের? কোথায় সংস্কার করা দরকার আগে? আমরা মানুষকে মানুষই ভাবি না। আমাদের প্রশাসন ওদেরকে গরু-ছাগলের মতো মনে করে। মানে এমনিতেই তারা মানুষ খারাপ বলছি না। ওদের কোনো উপায়ও নাই। তারা (প্রশাসন) লিবিয়া পর্যন্ত হাত বাড়াতেই পারবে না। প্রফেসর ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক সম্মানের কারণে অনেকে মনে করতেন যে তিনি হয়তো ম্যাজিক দেখিয়ে অনেক কিছু করতে পারবেন’, যদিও গত কয়েক বছরে তেমন কোনো ম্যাজিক দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অবৈধ প্রবাসীদের মুক্তির সমস্যার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমস্যার মূল কারণ হলো অনেক ব্যক্তিকে বৈধ পথে নেওয়া হয়নি এবং এজেন্টরা তাঁদের কোথাও রেজিস্টার করেনি, ফলে সরকার তাঁদের গ্যারান্টি দিতে পারে না। যদিও প্রফেসর ইউনূসের মতো মানুষের অনুরোধে কোনো দেশের সরকার হয়তো একবার বা দুবার সম্মান দেখাতে পারে, কিন্তু বিশ্বজুড়ে অবৈধ কার্যক্রমের শিকার হওয়া লোকদের রক্ষা করা কঠিন।’

প্রবাসীদের ডাক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান প্রমুখ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন লিবিয়া কারাগারে বন্দীদের স্বজনেরা ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ওসমান হাদির মৃত্যুতে তারেক রহমানের গভীর শোক

জাতি একজন নির্ভীক কণ্ঠস্বর ও আদর্শবাদী যোদ্ধাকে হারাল: জামায়াত আমির

ওসমান হাদির মৃত্যুতে জাপার আনিসুল ও রুহুল আমিনের গভীর শোক

ওসমান হাদির মৃত্যুতে এনসিপির শোক

রাতের মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চায় ছাত্রশক্তি

২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবেন তারেক রহমান, সংবর্ধনা বিমানবন্দর ও এভারকেয়ারের কাছাকাছি

ভারতের অখণ্ডতায় সম্পৃক্ত বক্তব্যে জামায়াত-শিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে: জামায়াত

সব জুলাই যোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি: সামান্তা শারমিন

নির্বাচন ও ওসমান হাদির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের জরুরি সভা

তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাতে ৭ রুটে বিশেষ ট্রেন চাইল বিএনপি