নেতা-কর্মী-সমর্থকদের জনসমুদ্র পেরিয়ে বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফুট এলাকায় সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জাতীয় পতাকার রঙে সাজানো বাসে চড়ে এ পথ অতিক্রম করতে সময় লেগেছে তিন ঘণ্টার বেশি। বাসটির সামনের দিকে চালকের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় স্লোগান ও সেলফিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো পথ।
দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে লাল-সবুজ রঙের বুলেটপ্রুফ বাসে ধীর গতিতে এগোচ্ছিল তাঁর বহর। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় চলছিল বাসটি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন তারেক রহমান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রথমে তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ভিআইপি লাউঞ্জে তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের শীর্ষ নেতারা। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।
বিমানবন্দরে তাঁর শাশুড়ি ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে বরণ করে নেন এবং নাতনি জাইমাকে আদর করেন। কিছু সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে সাদা রঙের একটি জিপে করে গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা।
পরে দুপুর ১২টা ৩২ মিনিটে দলের নেতাদের সঙ্গে লাল-সবুজ রঙের বুলেটপ্রুফ বাসে ওঠেন তারেক রহমান। দুই মিনিট পর বাসটি বিমানবন্দর ত্যাগ করে পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাত্রা শুরু করে। বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে তিনি মঞ্চের কাছাকাছি পৌঁছান। বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি মঞ্চে উঠে দাঁড়ান।
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফেরার দিনে বিমানবন্দর থেকে কুড়িল হয়ে ৩০০ ফুট সড়ক পর্যন্ত এলাকাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। শীত উপেক্ষা করে রাত ও ভোর থেকেই নেতা-কর্মীরা সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন।
সমাবেশস্থলের আশপাশেও আর কোনো ফাঁকা জায়গা দেখা যায়নি। মানুষের এই উচ্ছ্বাসে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সংক্ষিপ্ত এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’