হোম > মতামত > উপসম্পাদকীয়

নির্বাচন, গণতন্ত্র এবং মানব উন্নয়ন

প্রায়ই প্রশ্ন শুনি, কোনটা আগে—গণতন্ত্র, না মানব উন্নয়ন? আসলে দুটিই একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, যেহেতু দুটিই পারস্পরিকভাবে সম্পৃক্ত। মানব উন্নয়নের দুটি মৌলিক মাত্রিকতা হচ্ছে মানুষের সক্ষমতা ও সুযোগের বৃদ্ধি এবং সেই সঙ্গে তার কণ্ঠস্বরের অধিকার—মতপ্রকাশে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে।

সেলিম জাহান 

প্রতীকী ছবি

আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে প্রায়ই নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হই—প্রাক্‌-নির্বাচন আইনগত এবং সাংবিধানিক বিষয়ে এবং নির্বাচন-পরবর্তী বিষয়েও। প্রথম বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে একধরনের স্বস্তি বোধ করি—প্রশ্নকারীকে সরাসরি বলি যে আমি আইনের লোক নই কিংবা সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞও নই। সুতরাং প্রাক্‌-নির্বাচন আইনগত এবং সাংবিধানিক বিষয়ে বলার মতো জ্ঞান আমার নেই। কিন্তু যখন আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কী অবস্থা হবে, তখন বিব্রত বোধ করি। আমার কাছে তো কোনো ভবিষ্যৎ-লিখন স্ফটিক গোলক নেই যে ভবিষ্যৎ বলার স্পর্ধা রাখি।

তবে এটা জানি, দেশের জনগণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে একবুক প্রত্যাশা নিয়ে। তারা আশা করে আছে যে নির্বাচনের পরে তাদের জীবনে স্বস্তি আসবে, বর্তমান সময়ের অনিশ্চিত আর অস্থির সময়ের অবসান হবে, উত্তরণ ঘটবে একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো আর সংস্কৃতিতে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হলেই কি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে? একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে উঠবে, দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমে যাবে এবং মানুষের জীবনের উন্নতি হবে?

গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতিস্থাপন একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের দৌড় নয়, এটি একটি দীর্ঘ সময়ের পথযাত্রা। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এই পথযাত্রার একটি ধাপ, একটি অত্যাবশ্যকীয় শর্ত, কিন্তু পর্যাপ্ত শর্ত নয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে হবে সর্বস্তরে—ব্যক্তিজীবনে, পারিবারিক অঙ্গনে, সামাজিক বলয়ে এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের নিরন্তর চর্চা ভিন্ন কোনো জনগোষ্ঠীতে একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা যায় না। একই সঙ্গে প্রয়োজন হবে দৃশ্যমানতা এবং দায়বদ্ধতার একটি শক্ত কাঠামো। গণতন্ত্রের জন্য অবিরাম সংগ্রামের নামই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি।

সাধারণভাবে, গণতন্ত্র বলতে আমরা রাজনৈতিক গণতন্ত্রকেই বুঝি। কিন্তু গণতন্ত্রের একটি অর্থনৈতিক মাত্রিকতাও আছে, যাকে আমরা অর্থনৈতিক গণতন্ত্র বলতে পারি। অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের তিনটি মৌলিক মাত্রিকতা থাকে—সক্ষমতা গঠন এবং সুযোগ ব্যবহারে সমান অধিকার; সমতামূলক অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব এবং ফলাফলে সাম্যমূলক বণ্টন। একটি সাম্যসম্পন্ন, বৈষম্যহীন এবং ন্যায্য অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে হলে অর্থনৈতিক গণতন্ত্র অপরিহার্য। অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটি অর্থনৈতিক সমতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। আর সেই জন্য প্রয়োজন হয় সব ক্ষেত্রে সমান সুযোগের। সেই সুযোগ গ্রহণ করার জন্য প্রত্যেক মানুষের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক সামাজিক সেবাগুলোতে সবার সমান প্রবেশাধিকার। কিন্তু সামাজিক সেবাগুলোতে অধিকারকে শুধু পরিমাণগত দিক থেকে দেখলে চলবে না, তাকে নিশ্চিত করতে হবে গুণগত দিক দিয়ে। মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং সুস্থ ব্যবস্থামূলক স্বাস্থ্য সবার কাছে লভ্য করে দিতে হবে।

প্রায়ই প্রশ্ন শুনি, কোনটা আগে—গণতন্ত্র, না মানব উন্নয়ন? আসলে দুটিই একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, যেহেতু দুটিই পারস্পরিকভাবে সম্পৃক্ত। মানব উন্নয়নের দুটি মৌলিক মাত্রিকতা হচ্ছে মানুষের সক্ষমতা এবং সুযোগের বৃদ্ধি; সেই সঙ্গে তার কণ্ঠস্বরের অধিকার—মতপ্রকাশে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে। মানব উন্নয়নের প্রথম মাত্রিকতা অর্জনে অর্থনৈতিক গণতন্ত্র অপরিহার্য এবং তার দ্বিতীয় মাত্রিকতা অর্জনে রাজনৈতিক গণতন্ত্র লাগবেই।

গণতন্ত্র মানব উন্নয়নের মূল ভিত্তি নয়, তবে একটি অত্যাবশ্যকীয় স্তম্ভ। গণতন্ত্র এবং মানব উন্নয়ন—উভয়ের ভিত্তিভূমি হচ্ছে মানবাধিকার, সাম্য এবং মানবিক নিরাপত্তা। গণতন্ত্র ও মানব উন্নয়ন—উভয়েই উভয়কে শাণিত করে। রাজনৈতিক গণতন্ত্র না থাকলে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, তার নিরাপত্তা এবং তার কণ্ঠস্বরের স্বাধীনতা খর্ব হয়। অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে মানুষের সক্ষমতা এবং সুযোগ বিঘ্নিত হয়। অন্যদিকে মানব উন্নয়ন খর্বিত হলে মানুষ তার অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যায়; তার কণ্ঠস্বরের স্বাধীনতা সে প্রয়োগ করতে পারে না এবং সমাজের আলাপ-আলোচনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে পারে না।

অর্থনৈতিক গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে পড়লে মানব উন্নয়নের তিনটি বিষয় বিঘ্নিত হয়। এক. অর্থনৈতিক সম্পদ এবং সামাজিক সেবায় সম-অধিকার বিনষ্ট হয়, ফলে সুযোগ ও সম্পদ একটি শ্রেণির হাতে কুক্ষিগত হয়ে যায়। দুই. অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা এবং দৃশ্যমানতা ও দায়বদ্ধতার কাঠামোটি ভেঙে পড়ে এবং তিন. দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের একটি সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। এ প্রক্রিয়ার মাঝেই জনগণের অর্থের অপচয় এবং লোপাট ঘটে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায়। বিগত দিনগুলোতে বাংলাদেশে এই চিত্র আমরা বারবার দেখেছি।

আমরা সব সময় ‘অগ্রগতির’ ওপর জোর দিয়েছি, ‘উন্নয়নের’ ওপর নয়। তাই আমাদের চিন্তাচেতনায় ‘আয়ের প্রবৃদ্ধি’ যতখানি মনোযোগ পেয়েছে, তার বণ্টন ততটা পায়নি। আমরা ভৌত অবকাঠামোকে গুরুত্ব দিয়েছি, কিন্তু মানুষকে গুণসম্পন্ন সেবা প্রদানকে ততটা নয়। আমরা পরিমাণগত অগ্রগতির জন্য জান-প্রাণ খেটেছি, কিন্তু উপেক্ষা করেছি নানান সামাজিক সেবার গুণগত মান। তাই শিক্ষার হার বেড়েছে, কিন্তু শিক্ষার মান বাড়েনি। উন্নত মানের স্বাস্থ্যসেবা সংরক্ষিত রয়ে গেছে ধনিক শ্রেণির জন্য। নিম্নমানের সেবা কিংবা কোনো সেবাই পায়নি দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। ফলে অসমতা আর বৈষম্য আরও বেড়েছে। এমন একটি অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে কাঙ্ক্ষিত মানবসম্পদ আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। ফলে একদিকে যেমন আমাদের প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি বেড়েছে কর্মহীনতা এবং জাতীয় আয়ে শ্রমের ভাগ ৪২ শতাংশের বেশি ওঠেনি, যুক্তরাষ্ট্রে যেটা ৬২ শতাংশ।

বিশ্বকে দেখানোর জন্য বিরাট অঙ্কের ঋণ নিয়ে বিশাল বিশাল মর্যাদামূলক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, জনকুশলে যার অবদান তাৎপর্যহীন। সেসব ক্ষেত্রে সম্পদ প্রবাহিত হওয়ায় শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সম্পদের লভ্যতা কমেছে, মানব উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে, কিন্তু দেশের ঋণভার বেড়েছে। তার সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে সম্পদের পরিমাণ আরও কমেছে।

গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিনির্মাণের ক্ষেত্রে নির্বাচন প্রসঙ্গে যে প্রশ্ন আগে উত্থাপিত হয়েছে, অর্থনৈতিক গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক নানান কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সেই প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক। একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই কি অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমে যাবে এবং মানুষের জীবনের উন্নতি হবে?

না, সেই প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় নয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। মনে রাখা দরকার, রাজনৈতিক গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক গণতন্ত্র—দুটিই আমাদের অর্থনৈতিক অন্তরায়গুলো মোকাবিলা করার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। নির্বাচিত সরকারকে অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের কিছু কিছু মৌলিক বিষয়ে নজর দিতে হবে। প্রথমত, তাকে ‘উন্নয়নের’ দিকে নজর দিতে হবে; নিছক ‘অগ্রগতি’র দিকে নয়। সুতরাং শুধু পরিমাণগত বৃদ্ধি নয়, সেই বৃদ্ধির গুণগত মানের দিকেও সরকারের অগ্রাধিকার থাকবে। অর্থনৈতিক গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে যথোপযুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং একটি দৃশ্যমানতা ও দায়বদ্ধতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

এর জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন মেয়াদের বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার। অর্থনৈতিক নীতিমালাগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে, যাতে সব ধরনের সম্পদ, উৎপাদন উপকরণ ও সামাজিক সেবায় সমতাসম্পন্ন সাম্যমূলক অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকে।

দ্বিতীয়ত, যেসব বিষয় অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির পরিপন্থী হিসেবে কাজ করেছে, সেগুলো প্রতিহত করতে হবে। সমাজে ত্রাস, আশঙ্কা ও আতঙ্কের যে একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা দূর করা দরকার। নির্বাচিত সরকারের অর্থনৈতিক নীতিমালার প্রতি আস্থার কোনো বিকল্প নেই। এই আস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে পরে বিনিয়োগ বাড়বে, কর্মনিয়োজন বিস্তৃত হবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি কাঙ্ক্ষিত গতিময়তা সৃষ্টি হবে।

তৃতীয়ত, নির্বাচিত সরকারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন রূপরেখায় একটি উন্নয়ন দর্শন থাকতে হবে। সেই দর্শনের মূলকথা হবে মানুষের উন্নয়ন, মানুষের জন্য উন্নয়ন এবং মানুষের দ্বারা উন্নয়ন। মানুষের সক্ষমতার প্রসার ঘটতে হবে—পরিমাণগত এবং গুণগত উভয় দিক থেকে এবং সেই সক্ষমতার প্রসার শুধু তার কুশলেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তাতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে মানুষের কণ্ঠস্বরের স্বাধীনতা, তার অংশগ্রহণ। উন্নয়নের সুফল সুষমভাবে বণ্টিত হতে হবে—শুধু ফলাফলের সুষম বণ্টন নয়, সুযোগের সমবণ্টনও।

চতুর্থত, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পথযাত্রার একটি নৈতিক ভিত্তি থাকবে। উন্নয়নের লক্ষ্য শুধু প্রবৃদ্ধি নয়, শুধু বস্তুগত বিষয়ের সমাহার নয়, উন্নয়নের লক্ষ্য মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা, মানুষের মানবিক মর্যাদা সুনিশ্চিত করা, মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা, মানুষের মধ্যে সহনশীলতা, পরধর্ম এবং পরমতসহিষ্ণুতার একটি পরিবেশ গড়ে তোলা। উন্নয়নের নৈতিক ভিত্তির ভেতরে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অধিষ্ঠান ও নিরন্তর চর্চা একান্ত দরকার। সেই চর্চা হতে হবে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে, কর্মক্ষেত্রে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, রাজনৈতিক দল ও প্রক্রিয়ার মাঝে এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। এর পথ ধরেই পরিহার করতে হবে সন্ত্রাস এবং সহিংসতা।

পঞ্চমত, উন্নয়ন প্রসঙ্গে বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে। বাংলাদেশ অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি পথযাত্রার অন্যতম নির্ণায়ক হতে হবে বিশ্বের অর্থনীতি প্রবণতা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামো এবং ভূ-রাজনৈতিক অবস্থা। সে প্রসঙ্গে আগামী বছরে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের প্রস্তুতিপর্ব এবং উত্তরণ-উত্তর কার্যক্রম প্রণয়নের জন্য একটি বাস্তবসম্মত রূপরেখা তৈরি করতে হবে।

চূড়ান্ত বিচারে, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন একটি নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশের আগামী পথযাত্রার একটি আবশ্যকীয় শর্ত, কিন্তু একটি পর্যাপ্ত শর্ত নয়। সেই পথযাত্রার রূপরেখা তৈরির জন্য নির্বাচিত সরকারের যেমন অঙ্গীকার এবং অগ্রাধিকার লাগবে, তেমনি দরকার হবে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ। এই দুয়ের সমন্বয়ে হোক বাংলাদেশের দীপ্ত সম্মিলিত পথপরিক্রমা।

লেখক: অর্থনীতিবিদ

গণতন্ত্রের সন্ধিক্ষণ: তারেক রহমানের দেশে ফেরা

কেন পুড়িয়ে মারার মধ্যযুগীয় বর্বরতা

তারেকের প্রত্যাবর্তন: রাজনৈতিক ভবিষ্যতের এক মাহেন্দ্রক্ষণ

বিশ্বজুড়েই কেন গণমাধ্যম আক্রান্ত

সাইবার যুদ্ধ ও নজরদারি প্রযুক্তি: বৈশ্বিক নিরাপত্তা কোন পথে

মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে তুরস্কের নয়া ভূমিকা

রাষ্ট্রের মালিকানা এল না জনগণের হাতে

আলেক্সান্দ্রিয়ার শিক্ষা: ভবিষ্যতের জন্য সতর্কতা

বুদ্ধিজীবী হত্যা: দুর্ভাগ্যজনক সব বক্তব্য

কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে