ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদমতলী গোলচত্বর এলাকায় এলিগেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক রমজান আলীকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম। এর আগে ৭ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করলে ৮ ডিসেম্বর রাতেই সেই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিশুটি পরিবারের সঙ্গে চুনকুটিয়া হিজলতলা এলাকায় বসবাস করে। গত ২৬ নভেম্বর শিশুটি স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘এলিগেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক রমজান আলীর নাম উল্লেখ করে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করে। আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত এক দিনের মঞ্জুর করেছেন।’
এ বিষয় এলিগেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার স্কুলের বাইরের ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা স্কুলে ঘটেনি। স্কুলের সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’