সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমতি নিতে হবে। দেশে ফিরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সফরের বিস্তারিত উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রতিবেদন দিতে হবে। হাইকোর্টের এক রায়ে এমন কথা বলা হয়েছে। এ হিসাবে নিজ মন্ত্রণালয়সহ মোট তিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক এই রায় দেন।
রায়ে আদালত বলেন, অতিরিক্ত সচিব এবং তার নিচের পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সব অফিশিয়াল সফরে দেশের বাইরে যেতে শুধু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েরই নয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমতি আবশ্যিকভাবে নিতে হবে। জনগণের করের টাকার অপচয় রোধে এর প্রয়োজন রয়েছে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে সার্চ অ্যান্ড ফগলাইট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জনি করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী ওমর আলী বিআইডব্লিউটিসির এক চিঠির বৈধতা নিয়ে ২০১৬ সালে রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট সে সময় রুল জারি করেন। পরে চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল খারিজ করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, আরিচা ও মাওয়ায় বিআইডব্লিউটিসি ফেরিতে সার্চ অ্যান্ড ফগলাইট লাগানোর জন্য ২০১৫ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজ পায় জনি করপোরেশন। এর আগে প্রি শিপমেন্ট পরিদর্শনের জন্য চার সদস্যের প্রতিনিধিদল বিদেশ সফরে যায়। ১০টি ফগলাইটের জন্য ৬ কোটি টাকার ওই কাজে ব্যাংক গ্যারান্টি ছিল ২৮ লাখ টাকা। তবে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় ব্যাংক গ্যারান্টি অর্থ নগদায়নের জন্য বিআইডব্লিউটিসি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে চিঠি দিলে জনি করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী ওই রিট করেন।