আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৬০ লাখ শ্রমিক ঢাকা ছাড়বে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক লোক ঢাকা ছাড়বে। এতে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে যানজট লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। বাস-লঞ্চ ট্রেন স্টিমারে যেন অতিরিক্ত যাত্রী না নেওয়া হয় সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এসব যানবাহনে যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না হয় সে ব্যাপারেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি রাখবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্প কারখানা কবে ছুটি হবে তা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ বিকেএমইএ এবং শিল্প পুলিশের সমন্বয় একটি সভা করে সিদ্ধান্ত নেবে। বেতন ভাতাদি পরিশোধ, বিদেশি অর্ডার সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হবে।’
সড়ক-মহাসড়কে যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় সে জন্য ২৫ এপ্রিলের মধ্যে সব ধরনের রাস্তা যান চলাচলের উপযোগী করার জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গার্মেন্টস শিল্পে এক সঙ্গে ছুটি হলে লোকজনের ভিড়ে তীব্র যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য এসব শিল্প-কারখানা কবে ছুটি হচ্ছে তা বিজিএমইএ বিকেএমইএ এবং বড় বড় শিল্প মালিকদের সঙ্গে মন্ত্রণালয় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।
বাস ট্রেন লঞ্চ স্টিমার যাত্রীরা যাতে কোনো ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানি বা মলম পার্টির খপ্পরে না পড়ে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। এসব উন্নয়নকাজের কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ায় মানুষের যাতায়াত বহুলাংশে বেড়েছে। অনেকে মার্কেটে শপিং করতে যাচ্ছে। এ কারণে ঢাকা শহরের যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়কে নসিমন, করিমন এবং ব্যাটারি চালিত কোন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে ব্যাটারি চালিত যানবাহন চলাচল করে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সময় কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল, তবে এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনার পদক্ষেপ নেবেন।