শিল্প প্রতিষ্ঠানের দূষিত পানি ও অন্যান্য বর্জ্য যাতে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলতে না পারে তার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি কি পরিমাণ দূষিত হয়েছে তা পরিমাপ করে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত ২৪ এপ্রিল করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (৬ মে) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষণ বন্ধ, দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দূষণ করার কারণে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। তিনি বলেন, ‘কলকারখানা দ্বারা শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষণের ফলে নদীতে বসবাসকারী বিভিন্ন জীব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যার প্রভাব নদীর ওপর নির্ভরশীল সকলের ওপরই পড়ছে। এই কারণে নদী পানি দূষণ থেকে রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। যদি এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে আস্তে আস্তে নদী বিলীন হয়ে যাবে, যা পরিবেশের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’