হোম > জাতীয়

দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান রাষ্ট্রপতির   

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক। কোনোভাবে ছাড় না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় নাট্যশালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটিতে অনলাইনে যুক্ত হন রাষ্ট্রপতি। এ সময় তিনি বলেন, দুর্নীতি এমন একটি বিষয়, যা প্রাচীনকাল থেকে সমাজে প্রচলিত আছে। পৃথিবীর কোনো দেশ এর প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নয়। সামাজিকভাবে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব জাগ্রত না হলে দুদকের একার পক্ষে দমন করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মানুষের সচেতন হওয়া এবং দুর্নীতিবাজদের শাস্তির মাধ্যমে সহনশীল মাত্রায় দুর্নীতি হ্রাস করা যায় বলে মনে করেন আবদুল হামিদ। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, কোনো মানুষ দুর্নীতিবাজ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে না। পারিবারিক, সামাজিক ও আশপাশের পরিবেশই মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ঘর থেকেই শুরু করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সৎ, নিষ্ঠাবান ও আন্তরিকদের সামাজিকভাবে মূল্যায়ন করতে বলেছেন তিনি।

দুদকের কাজের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি জানান, দুদকের মামলা দায়ের বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে মামলায় সাজার হারও বেড়েছে। দুদকের হটলাইন মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে। ফলে জনগণ এর মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ দিতে পারছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সততা সংঘ ও সততা স্টোর এক অভিনব উদ্যোগ। শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে অধিকতর নীতিমান হয়ে উঠবে। এ ছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সচেতন নাগরিকদের নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সমাজে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরি করতে সহায়তা করবে।

দুদক কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আরও বলেন, আমি সকল কর্মকর্তাদের প্রতি বলব দুর্নীতি দমন কার্যক্রম আপনারা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন। নিজেদের অনিয়ম ও অসততা দুর করতে হবে। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবে তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে প্রচলিত আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে। দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতে হবে এবং দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না জনমনে এই ধারণা সৃষ্টি করতে হবে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত হন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। রাষ্ট্রপতির মতো তিনিও দুর্নীতিবাজদের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বয়কট করার আহ্বান জানান। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার সবচেয়ে কষ্ট হয় যখন দেখি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে ডিগ্রি অর্জনের পর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কিছু কর্মকর্তা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়। দেশের বিদ্যান ব্যক্তিগণ যদি ঐশ্বর্যের পেছনে ছোটে, অসাধু হয় তাহলে দুর্নীতি প্রতিরোধ কখনো সম্ভব নয়। টাকা হলে সবকিছু সম্ভব এ ধারণাকে চিরতরে বিদায় করতে হবে। তদন্ত হচ্ছে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার প্রাণ। সে জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। একজন দুর্নীতিবাজ যেন দায় থেকে মুক্তি না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে দুদকের কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক, দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান, দুদকের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব, বর্তমান কমিশনের মহাপরিচালক ও পরিচালক, বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে: প্রেস সচিব

বড়দিনে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রাষ্ট্রপতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তারেক রহমান

হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীর দোষ স্বীকার

বিমানবন্দর-৩০০ ফুট-গুলশানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন

আজ শুভ বড়দিন

পদত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী

জুলাই অভ্যুত্থানে চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের রায় ২০ জানুয়ারি

বড়দিন উপলক্ষে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়

তারেক রহমানের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে সরকার: প্রেস সচিব