হোম > জাতীয়

রোহিঙ্গাদের ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘু’ বলায় জাতিসংঘকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

রোহিঙ্গাদের ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘু’ হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন (ইউএনসিএইচআর)। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নেতা মুহিবউল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশকে দেওয়া চিঠিতে রোহিঙ্গাদের এভাবে উল্লেখ করে তারা। এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চিঠির উত্তর দিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবউল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর বিষয়টিতে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছিল ইউএনসিএইচআর। সেখানে রোহিঙ্গা নিরাপত্তায় বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে। এর উত্তরে রোহিঙ্গা নেতার হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে বাংলাদেশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কী ধরনের নিরাপত্তা দিয়েছে তা জানানো হয়েছে। ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর জাতিসংঘ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়। 

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের সংখ্যালঘু উল্লেখ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ দূতকে বাংলাদেশ পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে যে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। আর সাময়িকভাবে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নয়।’ 

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শুধু তাই নয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে সঠিকভাবে উল্লেখ করতে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।’ 

মুহিবউল্লাহর ওপর যে কোনো ধরনের হুমকি ছিল সে বিষয়ে ধারণা ছিল না বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের। তবে ঘটনার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ অপরাধীদের গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হয়েছে বলে চিঠিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ। 

কক্সবাজারে মোট ১ হাজার ৬১৬ জন পুলিশ সদস্য এবং ৪২৭ আনসার সদস্যকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। 

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের রাজনৈতিক অনিচ্ছা ও প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে ক্যাম্প এলাকা ঘিরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে বলেও চিঠিতে জানায় ঢাকা। 

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৯ আগস্ট শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে লিখিতভাবে হত্যা হুমকির কথা জানিয়েছিলেন মুহিবউল্লাহ। সেই সঙ্গে নিজ নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আবেদনও করেছিলেন তিনি। 

এদিকে বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনসিএইচআরের ডেপুটি হাইকমিশনার কেলি ক্লেমেন্স। ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা পৌঁছার কথা রয়েছে। এরপরই তিনি কক্সবাজার যাবেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে। সেখানে থাকবেন ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ভাসানচরও যাওয়ার কথা রয়েছে। ঢাকা ফিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে পরদিন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। 

শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্র: ১৩০ কোটি খরচ না করায় ক্ষতি ৩০০০ কোটি টাকা

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুমোদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল বিএনটিটিপি

প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর শপথ কাল

সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার সিরিয়াস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার, ঢাকার ৬ জেলায় এ পর্যন্ত সংগ্রহ ৫০৯টি

তারেক রহমান ও জাইমার ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন, রোববার উঠবে কমিশনে

নিষিদ্ধ দলের নেতারা আটকে যেতে পারেন তফসিলের শর্তে

সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই হামলা ঘটতে দিয়েছে: নূরুল কবীর

তারেক রহমান-জাইমার ভোটার হওয়া নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত রোববার: আখতার আহমেদ