হোম > জাতীয়

চাঁদাবাজি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে না দাঁড়ালে, সামনে দুর্দিন আছে: বিরোধী দলীয় উপনেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চাঁদাবাজি সমাজে একটি সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। 

আজ রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন অভিযোগ করেন। 

সংসদের এমপিদের উদ্দেশ্যে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আমার যারা সহকর্মী আছেন সংসদ সদস্য, তাঁদের কাছে আবেদন—চলুন আমরা এই একটা কাজে ঐক্যবদ্ধ হই, এখানে কোনো পয়সা খরচ করা হবে না। কোনো কিছু লাগবে না। কেবল আমরা প্রতিজ্ঞা করব—এদের মদদ করব না এবং যেখানে আমরা জানব সেটা প্রতিহত করব। এই কাজটা করলে আমি মনে করি, বাংলাদেশ অনেকখানি বেঁচে যাবে। এই যে উন্নত দেশের স্বপ্ন আমরা দেখি, সেটা গড়তে পারব।’ 

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ তুলে ধরে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে চাঁদা একটা কালচারে পরিণত হয়েছে। রাস্তা দিয়ে দিয়ে যখন পরিবহনের ট্রাকগুলো আসে, সেখানে চাঁদা দিতে হয়। সেই চাঁদা দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে যোগ হয়। আপনি একটি বাড়ি করবেন, সেখানে বালি কে দেবে, ইট কে সাপ্লাই দেবে, রড কে সাপ্লাই দেবে এগুলোর জন্য দিতে হয় চাঁদা। হয় চাঁদা দিতে হবে নয়তো তাঁদের সেই সাপ্লাইয়ের কাজ দিতে হবে। আজকে চাঁদাটা ভয়ংকর ব্যাধির আকার ধারণ করেছে।’ 

বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, ‘যে হকারগুলো খুবই গরিব মানুষ, কোনোভাবে বিক্রি করে সংসার চালায়, তাঁদের থেকে পর্যন্ত চাঁদা নিচ্ছে। রিকশার থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। রিকশার যে স্ট্যান্ড সেখানে তাঁদের চাঁদা দিতে হচ্ছে। সিএনজির যে মালিক, ড্রাইভার তাঁদের থেকেও চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। সমাজের প্রত্যেক জায়গায়, বিশ্ববিদ্যালয়েও আমরা অনেক কিছু দেখছি। এই চাঁদার যে কালচার ডেভেলপ করছে, এটার বিরুদ্ধে যদি আমরা একটা মুভমেন্ট না করি, তাহলে আমাদের দেশের জন্য সামনে দুর্দিন আছে বলে আমি মনে করি।’ 

সব সংসদ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাঁদাবাজদের মদদ না দেওয়া এবং চাঁদাবাজদের সম্পর্কে জানলে প্রতিহত করার প্রতিজ্ঞা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের সংসদে এখন তিন শ সদস্য আছেন। অচিরেই ৩৫০ জনে সেটি উন্নীত হবে। আমরা যদি নিজেদের কাছে প্রতিজ্ঞা করি কোনো চাঁদাবাজকে মদদ দেব না, সাহায্য করব না এবং তাঁরা যদি এসব কাজ করে তাহলে তাঁদের প্রতিহত করব; তাহলে আমি মনে করি, হয়তো বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করা যাবে না কিন্তু অনেকখানি কমাতে পারব।’ 

অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক একটি পত্রিকার সংবাদ তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম বিক্রির টাকা উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষকেরা নানা হিসেবে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। চট্টগ্রাম ছাত্রলীগ অতীতের মতোই এই টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারার অংশ হতে চায়। 

শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মুজিবুল হক বলেন, এটি যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে মানুষকে জানান কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

৮১ আসনে বিএনপির একাধিক নেতা প্রার্থী

দুই মাসের চুক্তিতে স্বাস্থ্যের ডিজি ও সচিব নিয়োগ

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ২৫৮২ জন

৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: পি কে হালদারসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

হাদি হত্যা মামলার তদন্ত-বিচারকাজে আইনি পরামর্শক হলেন সমাজী

এখন র‍্যাপিড পাস রিচার্জ করা যাবে মোবাইল অ্যাপে

রেলপথ, ইঞ্জিনসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকার আহ্বান

৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না: ইসি সচিব

পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল