বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ৬৫ জন চিকিৎসককে নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘শিশু হাসপাতালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো পরীক্ষা ছাড়াই চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এমনটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এ ধরনের নিয়োগের যৌক্তিকতার ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে যা যা আইনগতভাবে দরকার, আমরা তা-ই করব। বেআইনি কোনো কাজকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূরজাহান বেগম বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এ তরুণেরা ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে আগ্রহী। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসেবে এদের ক্ষমতায়ন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পছন্দের পরিবার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ জন্য কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক পছন্দ ও চাহিদাকে অনুধাবন করা, সেই সঙ্গে এ সকল পছন্দ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহায়ক এবং প্রতিবন্ধকগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ।
জানা যায়, গত ২৯ জুন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. মাহবুবুল হক অ্যাডহক–ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য ৬৫ জন চিকিৎসকের তালিকা তৈরি করেন। পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক এই তালিকার অনুমোদন দেন। নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।