হোম > জাতীয়

পার্বত্য অঞ্চল জরিপের চিন্তা, ড্রোন ব্যবহারের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পার্বত্য অঞ্চলে জমি জরিপের উদ্যোগে সাড়া পাচ্ছে না ভূমি মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েও মন্ত্রণালয় কোনো সাড়া পায়নি। তবে, যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে মন্ত্রণালয়। পার্বত্য অঞ্চলে একটি ‘এরিয়া সার্ভে’ করার বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণী সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন পার্বত্য অঞ্চলে ভূমি জরিপের ওপর জোর দিয়ে সেখানে স্যাটেলাইট ও ড্রোনের সাহায্যে জরিপের পরামর্শ দেন। 

জানা গেছে, কমিটির ১৬তম বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আজ বৈঠকে ওই আলোচনা কার্যবিবরণী আকারে উপস্থাপন করা হলে অনুমোদন দেয় সংসদীয় কমিটি। 

কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে নিজ উদ্যোগে পার্বত্য এলাকা সফরের কথা উল্লেখ করেন সভাপতি মকবুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর সরকার বেশ কিছু লোককে সেখানে মাথাপিছু একখণ্ড জমি দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়। কিন্তু দাগ-খতিয়ান না থাকায় তাঁদের নানারকম জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। ওই ভূমি দখলে রাখাও তাঁদের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’ 

পার্বত্য অঞ্চলে সমতলের মতো একই রকম ভূমি ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার উল্লেখ করে মকবুল হোসেন বলেন, ‘ওখানে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে যারা গরিব, তাঁরা দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হচ্ছেন।’ 

পার্বত্য অঞ্চলে কীভাবে সার্ভে করা যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা জরুরি উল্লেখ বরে স্যাটেলাইট ও ড্রোন দিয়ে জরিপ করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব করেন কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, ‘স্বাধীন সার্বভৌম দেশে ভূমির দাগ নম্বর না থাকার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ।’ 

জেলা প্রশাসকের এবং ইউএনওদের কাছে কিছু তথ্য চেয়ে এক মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয় বা সংসদ সচিবালয়ে পাঠানোর নির্দেশনা দিলেও তা পাননি বলে ক্ষোভ জানান। এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভূমি সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অবশ্য বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তিনি ধীরস্থিরভাবে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও বলেন। 

বৈঠকে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চল অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা। ওখানকার পরিস্থিতি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা না করাই ভালো। তবে পার্বত্য অঞ্চলে একটি এরিয়া সার্ভে করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় চিন্তাভাবনা করছে। 

বৈঠকে ভূমি সচিব জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সভা করে পার্বত্য অঞ্চলে জরিপের বিষয়ে চিঠিপত্র দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। 

সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে দখলকৃত ভূমি, জলাশয় ও পুকুর পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারি মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগের জন্য কমিটির পক্ষ হতে পরামর্শ দেওয়া হয়। 

কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, হাবিবর রহমান, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জিয়াউর রহমান এবং খান আহমেদ শুভ।

টিএফআই সেলে গুম-নির্যাতনের শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

বিমানবন্দর এলাকায় ড্রোন উড্ডয়ন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ

অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া নিশ্চিতে ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

পররাষ্ট্রের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কমিটি

নির্বাচন সফল করার সক্ষমতা আছে, আস্থা রাখতে পারেন—ইসিকে আইজিপি

কূটনৈতিক মিশনে হামলা-ভাঙচুর: ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানাল ঢাকা

গুম করে নির্যাতনের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

একনেকে সাড়ে ৪৬ হাজার কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন