সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সহকারী একান্ত সচিবের (এপিএস) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে রাখার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক আখতার হোসেন।
মামলার আসামিরা হলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রীর পিএ মাকসুদুল হাসান, তাঁর স্ত্রী হাসনাতুল হাসনা ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া (জীবন)। এ ছাড়া রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়ার স্ত্রী মোসা. লুৎফুন নাহারের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবেক কৃষিমন্ত্রীর পিএ মাকসুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ৬৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮৬ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী হাসনাতুল হাসনার বিরুদ্ধে করা অপর মামলায় ৭৬ লাখ ৭ হাজার ২৯২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, এ দম্পতির বিরুদ্ধে করা পৃথক দুটি মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে হাসনার বিরুদ্ধে করা মামলায় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়ার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। তিনি ২০১৪-১৯ সাল পর্যন্ত এপিএস পদে ছিলেন। পরে কসবা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৭৫৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর নামে মোট ৩ কোটি ১৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৯ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। অথচ তাঁর বৈধ আয় ৮৩ লাখ ২০ হাজার ১০৬ টাকা।
এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী লুৎফুন নাহারের নামে ও বেনামে বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ব্যাংক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক।
এ কারণে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী তাঁকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করা হয়েছে।