প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের বিষয়ে গণভোট আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে।
এই নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে, কিন্তু পৃথক ব্যালট পেপারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণ চলবে সকাল ৭:৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪:৩০ মিনিট পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে।
গণভোটের তফসিলের মূল বিষয়বস্তু
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫’-এর ওপর গণভোট অধ্যাদেশ জারির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এই গণভোটের আয়োজন করছে। গণভোটে জনগণের কাছে নিম্নলিখিত সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলোর ওপর সম্মতি (হ্যাঁ/না-এর মাধ্যমে) চাওয়া হয়েছে। প্রস্তাবগুলো হলো—
(ক) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হইবে।
(খ) আগামী জাতীয় সংসদ হইবে দুই কক্ষবিশিষ্ট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হইবে এবং সংবিধান সংশোধন করিতে হইলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হইবে।
(গ) সংসদে নারী প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল হইতে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসহ তফসিলে বর্ণিত যে ৩০টি বিষয়ে জুলাই জাতীয় সনদে ঐকমত্য হইয়াছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য থাকিবে।
(ঘ) জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অপরাপর সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হইবে।