ঢাকা: প্রতারণা, খুন, ধর্ষণ ও মানব পাচারের অভিযোগে করা অর্ধশত গায়েবি মামলার বাদী কারা তা খুঁজে বের করতে দায়ের করা রিট আবেদন শুনবেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এই তারিখ ধার্য করেন।
রাজধানীর শান্তিবাগের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চন গত সোমবার হাইকোর্টের রিট শাখায় এই আবেদন করেন। তাঁর আইনজীবী শুনানির জন্য আদালতে আবেদন জানালে আদালত জানান, তাঁরা রিট আবেদনটির ওপর শুনানি গ্রহণ করবেন। পরে তারিখ নির্ধারণ করে দেন।
রিট আবেদনে রিটকারীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার বাদী খুঁজে বের করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দিয়ে তদন্ত করাতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রিট আবেদনকারীকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি), মহাপরিচালক র্যাব ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা, মানব পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে অর্ধশত মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় তাঁকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। কিন্তু একটি মামলারও বাদী খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিবেচনায় অনেক মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। তাঁকে এসব মামলায় ১ হাজার ৪৬৫ দিন কারাগারে থাকতে হয়েছে। এতে তাঁর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তাই এর প্রতিকার এবং গায়েবি মামলা যারা করে সেই চক্রকে চিহ্নিত করার জন্য এই রিট আবেদন করা হয়েছে।
রিটকারী একরামুল আহসান কাঞ্চন সোমবার জানান, এ পর্যন্ত ৪৯টি মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মামলাগুলোতে সব ধরনের ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব মামলার বাদী খুঁজে পাওয়া যায়নি।