প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে যে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দিয়েছিলেন, সে মতেই বাংলাদেশ চলবে। আর দেশের এই অগ্রযাত্রা যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয়, সে বিষয়েও সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে (পাকিস্তানের কারাগার থেকে) এসে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কীভাবে চলবে সেই নীতিনির্ধারণী বক্তৃতা দিয়েছিলেন। যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ চলবে, সেই আদর্শ তিনি ব্যক্ত করেছিলেন। আর সেই আদর্শ নিয়েই আমাদের চলতে হবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর দেশের এই অগ্রযাত্রা যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয়।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এ দেশের উন্নয়নের চাকাটা গতিশীল থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনি-যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতিবাজদের কোনো স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। এই কথাটা তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘জনগণের অধিকার নিয়ে আমরা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’
দলের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। আরও বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জ্বল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এবং উত্তরের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী ও শেখ বজলুর রহমান।
দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
প্রসঙ্গত, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে ফিরে আসেন। এর আগে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, যা ইপিআরের ওয়্যারলেস যোগে সারা দেশে প্রচার করা হয়। এরপরই পাকিস্তানি বাহিনী তাঁর বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ আক্রমণ করে জাতির পিতাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।