অফিস সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়ায় সকাল সকাল বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, ‘পিক আওয়ার দিনের বেলায় চলে এলে আমরা একটা ভারসাম্য করতে পারব।’
সরকারি সিদ্ধান্তে আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস শুরুর দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখলাম আগে যে ট্রেন্ড ছিল, সকাল ১০টা থেকে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। এখন দেখলাম সকাল ৯টা থেকে (চাহিদা) বাড়া শুরু করেছে। এই মুহূর্তে ডেসকোর রিকুয়ারমেন্ট ১ হাজারের ওপরে চলে গেছে। তার মানে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সিটির ভেতরে ডেসকো ও ডিপিডিসির পিক আওয়ার থাকে দুপুরে, কিন্তু তা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এটা আমরা চাচ্ছি যে সন্ধ্যা থেকে পিক আওয়ারটা যদি দিনের বেলায় চলে আসে তাহলে আমরা একটা ব্যালান্স করতে পারব।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আর একটা জিনিস আমরা আজকে থেকে নিশ্চিত করতে চাই, মধ্যরাত থেকে সেচ পাম্পের জন্য আগামী ১৫ দিন যেন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকে। এটি আমার মনে হয় সম্ভব করে ফেলব, এটা আমি বলতে পারি। দেখা যাক, আগামী একটা সপ্তাহ আমরা দেখি। যদি এটা কার্যকর হয় তাহলে অন্তত বিদ্যুতের ব্যালান্সটা ঠিক করতে পারব।’
প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দিচ্ছেন, এটা কত দিন চলবে—এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লোডশেডিং আমরা কমাচ্ছি। কালকে রাতে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার চলে আসছে, যেখানে প্রায় ১১ হাজার ছিল। আস্তে আস্তে কমে আসছে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘লোডশেডিং আমরা দিতে বাধ্য হয়েছি। যেহেতু আমাদের জ্বালানি ও গ্যাস শটেজ ছিল। ওই জায়গা থেকে আমরা লোডশেডিং ব্যালান্স করার চেষ্টা করছি। ব্যালান্স করে আমরা সাশ্রয় করতে পারছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন প্রয়োজনে মন্ত্রীদের বাসায়ও লোডশেডিং দেওয়া হোক—এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিপু বলেন, ‘সবার বাসায়ই তো লোডশেডিং চলছে। কেউ বাদ যাচ্ছে না।’