কোনো জিনিসের দাম বেশি হলেই সেটির মান ভালো হবে তা বলা যাবে না। বেশি দামের সেটা ভালো কি না, তা ভোক্তার আস্থায় আনতে হবে। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজ দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত 'ফুড সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ড্রাম অয়েল সোল্ড ইন মার্কেট' শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের উপাদান বোতলের গায়ে সঠিকভাবে লিখতে হবে। পাম ওয়েল থাকলে সেটা পাম ওয়েল, সয়াবিন ও সরিষার তেল থাকলে সেটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। একটির সঙ্গে আরেকটির মেশানোর কোনো সুযোগ নেই। এ জন্য আমাদের আমদানিকারকদের সচেতন হতে হবে। তারা সচেতন হলে ভোক্তা ও সচেতন হবে। আমদানিকারকদের মানবসেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে।
প্যাকেট করার সময় ভেজাল করলে সেটা কীভাবে ধরা যাবে, এটি আগে নিশ্চিত করতে হবে। বিড়ি বা সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বিভিন্ন সতর্কবাণী রয়েছে। ওই সতর্কবাণী দেখে অনেকেই সেটি খাওয়া থেকে বিরত আছেন। তেমনি ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রেও কোনটি ভালো আর কোনটা খারাপ তা নিশ্চিত করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, `ভেজাল খাবার খেয়ে আমরা ক্যানসার ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে চাই না। আমরা চাই না থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর চেন্নাইয়ে গিয়ে চিকিৎসা করতে। এ জন্য ভোজ্য তেলের বোতলের গায়ে উপকার ও ক্ষতি দুটোই লিখতে হবে।
সেমিনারে এক সমীক্ষায় বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত মোট ভোজ্যতেলের ৬৫ শতাংশ ড্রামাকুল আপেল এবং ৩৫ শতাংশ বোতল প্যাকেটজাত। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বিএসটিআই ৯১৩টি নমুনা পরীক্ষা করেছিল, সেখানে বোতলজাত সয়াবিন তেলে ১৩ শতাংশ `ভিটামিন এ' পাওয়া যায়নি আর খোলা তেলের প্রায় অর্ধেকই `ভিটামিন এ' সমৃদ্ধ ছিল না।
প্রসঙ্গত, সরকার আগামী ২২ মার্চের মধ্যে দেশের সব ভোজ্য তেল বোতল বা পলিপ্যাক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে আজকের এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।