সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের নামে অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া চারটি ব্যাংক হিসাব তাঁর নয় বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি বলছে এটি তাদের ‘করণিক ত্রুটি’।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এই সংশোধনীর বিষয়টি জানান।
এ বিষয়ে দুদক জানায়, ‘ডিজিএফআইয়ের চারটি প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট প্রতিষ্ঠানের নামে না হয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের নামে হওয়ায় করণিক ত্রুটির কারণে ওই অ্যাকাউন্টসমূহ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট হিসেব অবরুদ্ধ হয়েছে। এটি একটি তথ্যসূত্রগত ত্রুটি, যা সংশোধন করা হচ্ছে।’
এর আগে সোমবার (৭ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নওশাদ আলী হামিদুল হকের নামে থাকা এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন চারটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেন।
আদালতে দুদকের করা সেই আবেদনে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল হামিদুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন বিষয়ে অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক তাঁর ব্যাংকে থাকা অর্থ উত্তোলন হস্তান্তর ও স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন বলে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে। এ অবস্থায় তাঁর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
এর আগে গতকাল সোমবার ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হকের চারটি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেয় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
এই সংবাদ প্রকাশের পর দুদক সংশোধনী দিয়ে জানায়, ব্যাংক হিসাবে ৪০ কোটি টাকা নয়, হামিদুলের চারটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আজ আবারও সংশোধন করে দুদক জানিয়েছে, অবরুদ্ধ করা ব্যাংক হিসাবগুলো হামিদুলের নয়, ডিজিএফআইয়ের।