২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানি ২৪ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এ ছাড়া পলাতক থাকায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা তাজউদ্দিন ও হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহানকে নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ শুনানি করেন। তিনি শুনানিতে পেপারবুক, সাক্ষ্য ও রায় উপস্থাপন করেন।
আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী এস এম শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুজনের (মাওলানা তাজউদ্দিন ও মো. হানিফ) পক্ষে আমাকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রেনেড হামলা মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন।
রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হলে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১ জুন তা মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এতে দলটির নেতা-কর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েক শ নেতা-কর্মী।
এই হামলার ঘটনায় পরে হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত দুটি মামলারই রায় দেন।
রায়ে গ্রেনেড হামলার সময়ের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ের পর মামলার সব নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা পৃথক জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।