দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, বজ্রপাতের ঝুঁকি হ্রাসে প্রায় শত কোটি টাকার তালগাছ লাগানো প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে এখন আর আমরা তালগাছের সঙ্গে নেই, বজ্রপাতের ঝুঁকি কমাতে এখন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাজ করা হচ্ছে।
আজ শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান তিনি।
এনামুর রহমান বলেন, বজ্রপাতের ঝুঁকি কমাতে ৭২৩টি বজ্রপাত স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের মেসেজ দেবে, আর্লি ওয়ার্নিং দেবে। এই মেসেজ আবহাওয়া দপ্তরে পাঠানো হবে। ফলে মানুষ আগেই সচেতন হতে পারবে। ফাঁকা জায়গায় বা মাঠে যারা কাজ করে তাঁরা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। এ জন্য ফাঁকা জায়গায় বজ্রপাত নিরোধক শেল্টার তৈরি করা হবে, যাতে বজ্রপাতের সময় মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালের আগে হাওরের ফসল নষ্ট হয়েছে বন্যায়। এখন সেখানে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। ফলে গত চার বছরে হাওর এলাকার ফসল নষ্ট হয়নি। এ বছর ঘূর্ণিঝড়ে যারা মারা গেছে, তাঁরা আশ্রয় কেন্দ্রের বাইরে বের হয়ে টিনের তলায় কাটা পড়ে মারা গেছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে এসে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। এ ছাড়া ছায়া সংসদে সরকারি দল হিসেবে অংশ নেয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি এবং বিরোধী দল হিসেবে অংশ নেয় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকেরা।