প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লব সংবিধানকে উল্টে দেওয়ার প্রস্তাব করেনি। এর সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততাকে শুদ্ধ করার প্রস্তাব করেছিল। বিচার বিভাগের শক্তি কোনো একক পদে নয়, বরং সততা, ভারসাম্য ও দূরদর্শিতার সঙ্গে ন্যায়বিচার পরিবেশনে আমাদের সম্মিলিত সংকল্পের মধ্যে নিহিত।’
আজ বৃহস্পতিবার বিদায়ী সংবর্ধনার জবাবে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। আপিল বিভাগের ১ নম্বর বিচারকক্ষে (প্রধান বিচারপতির এজলাস) এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। ২৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হবে। সংবিধান অনুযায়ী ওই দিন তিনি অবসরে যাবেন। তবে ওই সময় সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ ছুটি থাকায় আজ ছিল তাঁর শেষ বিচারিক কর্মদিবস।
প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া বিদায়ী সংবর্ধনায় এজলাসে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আদালতে বিপুলসংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রধান বিচারপতির কর্মময় জীবন তুলে ধরে বক্তব্য দেন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বক্তব্য দেন। পরে প্রধান বিচারপতি সংবর্ধনার জবাবে বক্তব্য দেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর অনিশ্চিত সময়গুলোতে একমাত্র বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ কার্যকর সাংবিধানিক অঙ্গ হিসেবে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে বলেন, ‘গত ১৬ মাসে আপনি ছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক সততার এক সুদক্ষ কারিগর। আপনি এসেছিলেন এক উত্তপ্ত বিপ্লবের ঋতুতে আর বিদায় নিচ্ছেন বিজয়, শান্তি ও স্বচ্ছতার এক অনন্য ঋতুতে। আপনি যে স্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় ও বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বীজ বুনে যাচ্ছেন, আমরা তাকে মহীরুহে পরিণত করব।’
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি নাগরিকদের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। সমাজের সব স্তরে বৈষম্য দূর করার ব্যাপারে আপনি ছিলেন অতন্দ্র প্রহরী।’