‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ উপলক্ষে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে কোস্ট গার্ড। আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
সিয়াম-উল-হক বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের সুবিশাল সমুদ্র, উপকূলীয় এবং নদীতীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ, মা ইলিশ সংরক্ষণ এবং সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালীন কঠোর নজরদারি এবং প্রতিনিয়ত কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে ‘মা ইলিশ’ রক্ষার্থে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০’ মোতাবেক ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সারা দেশে ইলিশের আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে।
এ উপলক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে নদী ও সমুদ্র উপকূলে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি এবং দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভার আয়োজন এবং সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌবাহিনী, পুলিশ ও মা ইলিশ সংরক্ষণে সক্রিয় অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
একই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশের মাছ ধরার ট্রলার যেন বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মৎস্য আহরণ করতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের টহলরত জাহাজগুলো সর্বদা সতর্ক অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করছে।
এ ছাড়া উপকূল ও সমুদ্রে যেকোনো প্রয়োজনে জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১-এ কল করলে অতি দ্রুত সহায়তা দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে কোস্ট গার্ড।
সিয়াম-উল-হক আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দায়িত্বাধীন উপকূলীয় ও নদী এলাকার মৎস্য অভয়াশ্রমগুলোতে মা ইলিশ রক্ষায় সার্বক্ষণিক টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।