'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ পদক পাচ্ছেন পাঁচজন বিশিষ্ট নারী। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া, সমাজসেবা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, গবেষণা, কৃষি ও পল্লি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য চলতি বছর থেকেই এ পদক দেওয়া শুরু হচ্ছে।
এ বছর এ পদক পাচ্ছেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মমতাজ বেগম (মরণোত্তর), শিক্ষায় জয়াপতি (মরণোত্তর), কৃষি ও পল্লি উন্নয়নে নুরুন্নাহার বেগম (মরণোত্তর), রাজনীতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল এবং গবেষণায় নাদিরা জাহিদ।
আজ শুক্রবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত এপ্রিলে প্রথমবারের মতো 'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ পদক দেওয়ার কথা জানায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সে সময় এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, প্রতিবছর ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে মনোনীত নারীদের এই পদক দেওয়া হবে। এই পদক ‘ক' শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক হিসেবে গণ্য হবে। পদকপ্রাপ্ত একেকজন নারী পাবেন ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম সোনা দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৪ লাখ টাকার চেক ও সম্মাননা সনদ।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে পদকপ্রাপ্তদের মনোনয়নে নয় সদস্যবিশিষ্ট প্রার্থী বাছাই কমিটি থাকবে। এই কমিটি প্রাপ্ত আবেদন মূল্যায়ন করে সর্বোচ্চ ১০ জনের নাম জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে বিবেচনার জন্য সুপারিশ করবে। সেখান থেকে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে পদক প্রদানের বিষয় চূড়ান্ত হবে।