হোম > জাতীয়

২০৭ কোটি টাকার ঋণ আত্মসাৎ: সাইফুল আলম, রন-রিক সিকদারসহ ২৬ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাইফুল আলম, রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার। ছবি: সংগৃহীত

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামমাত্র প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ও অ্যান্ড এম সার্ভিসেসের নামে ২০৭ কোটি টাকার ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদারসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সিকদার গ্রুপের পরিচালক ও রন হক সিকদারের ভাই রিক হক সিকদার, তাঁদের তিন বোন মমতাজুল হক সিকদার, লিসা ফাতেমা হক সিকদার, পারভীন হক সিকদার এবং রিক হক সিকদারের ছেলে জন হক সিকদার।

এ ছাড়া মামলায় এমএস কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপার্স ও ম্যাম ইমপেক্সের স্বত্বাধিকারী মো. সালাউদ্দিন, মাহবুব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ মাহবুব-ই-করিম, মো. শেখ আলম ও মনিশংকর বিশ্বাসকে আসামি করা হয়েছে।

আসামির তালিকায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ছাড়াও ব্যাংকটির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এম মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহুরুল হক, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আজিজ, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, সাবেক পরিচালক ফারজানা পারভীন, আতিকুর নেসা, মোহাম্মদ ইসহাক, আহমদ মুক্তাদির আরিফ, ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, খন্দকার ইফতেখার আহমদ, বদরুন নেছা, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর ও মো. ওয়াহিদুল আলম শেঠের নাম রয়েছে।

দুদকের মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর বেঙ্গল ও অ্যান্ড এম সার্ভিসেসের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির কারওয়ান বাজার শাখায় হিসাব খোলেন জন হক সিকদার।

একই দিনে বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি কার্যাদেশ বাস্তবায়নের কথা বলে ১৫০ কোটি টাকার বাই-মুরাবাহা ঋণের আবেদন করেন তিনি। দুদকের তদন্তে অবশ্য কোনো কার্যাদেশ বা জামানতের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

পরে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ঋণ অনুমোদন করে। ৫ ফেব্রুয়ারি ১২টি ডিলে ১৫০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়। একই দিনে সেই টাকা স্থানান্তর করা হয় সিকদার গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এমএস কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপার্স (৪৭ কোটি), মাহবুব এন্টারপ্রাইজ (৪৮ কোটি) ও ম্যাম ইমপেক্সে (৬০ কোটি)।

দুদকের অভিযোগ, কোনো জামানত বা যাচাই-বাছাই ছাড়াই বিতরণ করা এই ঋণের পুরো অর্থ একই দিনে বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করা হয়।

এ বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত সুদসহ বকেয়া দাঁড়িয়েছে ২০৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি।

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

আবারও বাড়ল পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে শেখ হাসিনার দায় আছে: আসিফ নজরুল

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শিল্পকলার সব অনুষ্ঠান তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক

খালেদা জিয়ার জানাজা সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়, বেলা ২টায়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদ

খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

খালেদা জিয়ার জেলজীবন