বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আজ বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। আর দ্বৈত কর পরিহারের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ।
মালদ্বীপ প্রেসিডেন্ট দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই চার এমওইউ ও চুক্তি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে উভয় নেতার উপস্থিতিতে আজ সকালে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে স্বাক্ষরিত হয়।
এমওইউ এবং চুক্তিগুলো হলো-
১. দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগে মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এমওইউ।
২. স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা একটি এমওইউ নবায়ন।
৩. যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে সহযোগিতা নিয়ে মালদ্বীপের যুব, ক্রীড়া ও কমিউনিটি ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এমওইউ।
৪. দ্বৈত কর বাতিল এবং কর এড়ানো ও কর ফাঁকি রোধে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মালেতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে পৌঁছালে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন। এ সময় শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান ও গান স্যালুট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের ‘লাইন অব প্রেজেন্টেশন’ ও পরিদর্শন করেন। শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং সেখানে ফটোসেশনে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার বিকেলে (২২ ডিসেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি বিশেষ ফ্লাইটে প্রথমবারের মতো ছয় দিনের দ্বিপাক্ষিক সফরে মালদ্বীপের রাজধানী মালে পৌঁছান।