ইউক্রেনে আটকা পড়া এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটির ২৮ নাবিককে অন্য আরেকটি বাংকারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্তে সরিয়ে নেওয়ার পথে একটি সেতু বিকল থাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের ওই বাংকারে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ)।
আজ শনিবার রাত ৯টার দিকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে নাবিকদের উদ্ধারের সঙ্গে জড়িতদের যোগাযোগ হচ্ছে। তাঁরা জানিয়েছেন, ২৮ নাবিক-ক্রুকে পার্শ্ববর্তী দেশে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যাওয়ার পথে একটি সেতু বিকল থাকার পাশাপাশি ওই রুটে প্রচুর যানজট থাকায় তাঁদের ভিন্ন পথে সীমান্তে নেওয়া হবে। এ জন্য তাঁদের নতুন একটি বাংকারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে পরবর্তীতে সময়, সুযোগ বুঝে পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্তে সরিয়ে নেওয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে শাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘কোন দেশে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সেটি এই মুহূর্তে প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে এতটুকু নিশ্চিত করতে পারি তাঁরা এখন ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী মলদোভার দিকে যাচ্ছেন।’
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বহির্নোঙরে অবস্থানরত অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বুধবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজের নেভিগেশন ব্রিজে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান মারা যান। পরে জাহাজটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে বাকি ২৮ নাবিককে জাহাজ থেকে বন্দরের উপকূলে বাংকারে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের সীমান্তে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইউক্রেনের স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে তাঁরা বাংকার থেকে সড়কপথে সীমান্ত এলাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএমএমওএর সভাপতি মো. আনাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা (নাবিকেরা) বাংকার থেকে মলদোভা সীমান্তে যাওয়ার জন্য রওনা হন। রুশ সৈন্যদের প্রতিরোধে ওই পথের একটি সেতু বিকল করে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে এখন তাঁরা ওই রুট দিয়ে যেতে পারছেন না। ভিন্ন রুট দিয়ে ঘুরে তাঁদের মলদোভায় সরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ওই রুটে প্রচুর যানজট থাকায় এখন আরেকটি বাংকারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আপাতত তাঁরা সেখানে থাকবেন। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে এলে তাঁদের সেখান থেকে মলদোভা সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হবে।’