চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। শীতের ঠান্ডা হাওয়া থেকে রক্ষা পেতে বাইকারদের জন্য বিশেষ পোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাইকারদের আলমারিতে যে ঠান্ডা প্রতিরোধক পরিধেয় রাখা জরুরি সেগুলো হলো:
ভারী জ্যাকেট বা সোয়েটার
শীতকালে বাইকারদের পলিয়েস্টার বা রেয়নের কাপড় পরিধান করা ভালো। সিনথেটিক পোশাক শীতের রাতে ভালো কাজ করে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীরা ভারী সোয়েটার অথবা জ্যাকেটজাতীয় পোশাক ব্যবহার করুন শীত থেকে রক্ষা পেতে। বাইকচালকদের জন্য চামড়ার জ্যাকেট খুব ভালো পছন্দ হতে পারে। এটি শরীরের তাপ ধরে রাখতে পারে খুব ভালোভাবে।
চেস্ট প্রটেক্টর
বাইক চালানোর সময় শরীরের সামনের দিকে বাতাস লাগে। অনেক সময় জ্যাকেট কিংবা সোয়েটার সেই বাতাস ঠেকাতে পারে না। বুকে লাগা বাতাস ঠেকানোর জন্য পাওয়া যায় চেস্ট প্রটেক্টর। চেস্ট প্রটেক্টর কেনার সময় রেক্সিন বা লেদারের তৈরি চেস্ট প্রটেক্টরই বেছে নিন।
এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট
শীতের বাতাস থেকে বাঁচতে ভালো মানের একটি এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট সংগ্রহ করে নিন। ভালো মানের রেইনকোট ভালো মানের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেটও পাওয়া যায় বাজারে। এগুলো অনেকটা রেইনকোটের মতো দেখতে।
গ্লাভস শীতে হাতে অবশ্যই গ্লাভস
পরে নেবেন। গ্লাভস শীতকালে হাত ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং তাপ ধরে রাখে। সাধারণত হাতের তাপ সহজে কমে না। কিন্তু একবার কমতে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে হাতের তাপ ধরে রাখার জন্য গ্লাভসের কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্লাভস পাওয়া যায়। হাতের মাপমতো পছন্দের গ্লাভসটি কিনে পরে ফেলুন।
জুতা ও মোজা
শুধু জুতা বা স্যান্ডেল পরলে শরীরের তাপ ধরে রাখা যায় না; বরং শরীর দ্রুত তাপ হারায়। কিন্তু মোজা পরলে শরীরের এই তাপ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সুতি বা সিনথেটিক যেকোনো আরামদায়ক মোজা ব্যবহার করতে পারেন। শীতের দিনে বাইক চালানোর সময় স্যান্ডেল ব্যবহার না করে জুতা ব্যবহার করা ভালো।
সূত্র: রাইড অ্যাডভেঞ্চারস ও অন্যান্য