হোম > জীবনধারা > জেনে নিন

ডায়াবেটিস রোগীদের ৬টি অপরিহার্য সঙ্গী

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 

ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত খাওয়া, শরীরচর্চা, ঘুমানো—এসবের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক

সকালবেলায় রক্তে শর্করার মাত্রা দেখে দিনের শুরু। অনেকের কাছে এটি কঠিন মনে হলেও যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁদের কাছে এটি স্বাভাবিক অভ্যাস। টাইপ-২ ডায়াবেটিস ক্ষণস্থায়ী অসুখ নয়। ডায়াবেটিস হলে জীবনযাপনে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত খাওয়া, শরীরচর্চা, ঘুমানো—এসবের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। এ ছাড়া কয়েকটি জিনিস জীবনের সঙ্গে জুড়ে যাবে অনিবার্যভাবে। চিন্তার কিছু নেই, সেগুলো ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনাকে সহজ করে তুলবে। এতে ভুল কম হবে এবং দৈনন্দিন জীবনে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।

সহায়ক ও মনোযোগী চিকিৎসক

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন এমন একজন চিকিৎসকের, যিনি রোগীকে যথেষ্ট সময় দেবেন এবং সমস্যাগুলোর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। অনেক সময় অনেকে শরীরের ওজন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করবেন, যা রোগীর মনোবল কমিয়ে দেয়। তাই এসব বিষয়ে সচেতন এমন কোনো চিকিৎসক ঠিক করা উচিত দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসার জন্য। রোগী কী অনুভব করছেন, কোন খাবার বা অভ্যাসে কী পরিবর্তন হচ্ছে, এসব বিষয়ে চিকিৎসকের নজর থাকতে হবে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পরামর্শ পাওয়া যাবে চিকিৎসকের কাছ থেকে।

গ্লুকোজ মনিটর

শুরুতে ডায়াবেটিস হলে রক্তের শর্করা মাপার জন্য দিনে কয়েকবার আঙুলে সুচ ফোটাতে হয়। তবে এতে বুঝে ওঠা কঠিন, কোন খাবার শর্করা বাড়াচ্ছে আর কোনটি কমাচ্ছে। কিন্তু এখন গ্লুকোজ মনিটর বা সিজিএম ব্যবহারের কারণে পুরো বিষয়টিই সহজ হয়ে গেছে। এতে ২৪ ঘণ্টা রক্তের শর্করার ওঠানামা দেখা যায়। হঠাৎ কোন খাবার শর্করা বাড়াচ্ছে, কোন খাবার কমাচ্ছে—সবকিছু একনজরে বোঝা যায়। মনে রাখতে হবে, সঠিক তথ্য রোগ নিয়ন্ত্রণের বড় সহায়ক।

পানি পানের অভ্যাস গড়ার বোতল

ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানি শরীর থেকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বের করতে সাহায্য করে বলে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ রোগের রোগীরা সঙ্গে সব সময় পানির বোতল রাখতে পারেন। এ ছাড়া যাঁরা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন, তাঁরা সঙ্গে ইলেকটোলাইটযুক্ত ট্যাবলেট বা পানি পরিষ্কার করার পাউডারও রাখতে পারেন। এতে যেকোনো পরিস্থিতিতেই নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পানি পান করা যেতে পারে।

গরমে ঠান্ডা রাখার পোর্টেবল ফ্যান

ডায়াবেটিস থাকলে অনেকের গরমে দ্রুত ক্লান্তি ও অস্বস্তি বোধ হয়। বিশেষ করে আর্দ্র আবহাওয়া বা গরম দেশ ভ্রমণের সময় এটি আরও প্রকট হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ছোট চার্জেবল ফ্যান অনেক উপকারে আসে। এসব ফ্যান সহজে ব্যাগে রাখা যায়। তাই এর ব্যবহারও সহজ।

নিয়ম ধরে রাখার জন্য পিল কেস

ওষুধ ঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা অনেকের জন্য কঠিন। একটি ভালো মানের পিল কেস তাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিনের ওষুধ আলাদা করে রাখা থাকলে ভুল হওয়ার আশঙ্কা কমে। কেউ কেউ ভ্রমণের সময় ছোট আকারের পিল কেস ব্যবহার করেন। এখন আবার টাইমার যুক্ত কেস পাওয়া যায়। সেগুলো ওষুধ খেতে ভুলে গেলেই সতর্ক করে।

পায়ের জন্য সঠিক জুতা

ডায়াবেটিসে পায়ের যত্ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়মিত থাকলে পায়ে ক্ষত বা ফোসকা হতে পারে সহজে। এসব ক্ষত দ্রুত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় যত্ন না নিলে মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। অনেকেই প্রথমে জুতার নকশা বা স্টাইল দেখে কেনেন। কিন্তু পরে বোঝেন, পায়ের আরামই জরুরি। পডিয়াট্রিস্টরা পরামর্শ দেন এমন জুতা পরার, যা পা স্থির রাখে, হাঁটায় চাপ কমায় এবং ফোসকা হওয়ার আশঙ্কা কমায়। সঠিক মোজা নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তার জন্য জরুরি ফার্স্ট এইড কিট বা ব্যান্ডেজ সঙ্গে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। যদি ফোসকা বা ক্ষত তৈরি হয়, সঙ্গে থাকা ব্যান্ডেজ দিয়ে তা দ্রুত ঢেকে দেওয়া যায় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষদের জন্য সবচেয়ে জরুরি নিজের শরীর বোঝা, নিয়মিত নজর রাখা এবং নিজের জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা।

সূত্র: হেলথ

সবুজ পৃথিবীর জন্য ২০২৬: নতুন বছরে কিছু পরিবেশবান্ধব সংকল্প নিন

জেন-জি প্রজন্ম কি আসলে ভীত?

আজকের রাশিফল: প্রেমের সম্ভাবনা নষ্ট করবে অহংকার, সময় নিয়ে দাঁত মাজুন

২০২৬-এর ডায়েট রেজল্যুশন: নতুন বছর শুরু হোক টেকসই অভ্যাস নিয়ে

মাথার ওপর মরুকরণ: কেন বিশ্বজুড়ে কমছে পুরুষের চুলের ঘনত্ব

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

রান্নায় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের ব্যবহার কতটা নিরাপদ বা কতটা ঝুঁকি

জাপানিরা কেন কাঁচা ডিম খায়!

কোন খাবারে কীভাবে রসুন ব্যবহার করবেন, জেনে নিন

নারী ও পুরুষের মস্তিষ্ক কি আসলেই আলাদা? গবেষকেরা কী বলছেন