রাজধানীর সাতটি কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫-এর চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন কলেজেগুলোর শিক্ষার্থীরা। আগামী রোববার থেকে রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে শিক্ষা ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
ঢাকা কলেজের সামনে আজ বুধবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা চাই, দ্রুততম সময়ে অধ্যাদেশ জারি করা হোক। নাহলে আগামী রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, এভাবে করে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত, অধ্যাদেশ আদায় হওয়ার আগপর্যন্ত আমরা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান করব।’
এদিন বেলা সোয়া ১টার দিকে দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে ঢাকা কলেজ থেকে বিক্ষোভ-মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। আজিমপুর মোড় ঘুরে বেলা ২টার পর ঢাকা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল ফের শুরু হয়।
এদিন ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরাও প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিসংক্রান্ত পাঁচ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। বেলা ১১টার দিকে আজিমপুর-নীলক্ষেত সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। পরে সেখান থেকে মিছিল বের হয়।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার।
তবে এ নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতকপর্যায়ের শিক্ষার্থী, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা ভিন্ন অবস্থান নেন। প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করা হয়।
এই অবস্থায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ দ্রুত জারির দাবি জানান কলেজগুলোর স্নাতকের শিক্ষার্থীরা। আর উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা স্কুলিং মডেল বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী, কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।