সুস্থ থাকতে প্রয়োজনীয় মাত্রায় ঘুম খুব জরুরি। নিদ্রাহীনতা বা যাঁরা শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ঘুমাতে পারেন না, তাঁরা বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধায় ভোগেন। তা ছাড়া, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে প্রতিদিন রুটিন মাফিক কাজকর্মেও অসুবিধা দেখা দেয়। তবে বয়সভেদে ঘুমের চাহিদা কিন্তু ভিন্ন।
ঘুমের জন্য যা প্রয়োজন
মানুষ হচ্ছে এমন প্রাণী, যে কিনা সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে দেখতে পায় না। নিশাচর প্রাণীরা এ সময় ভালো দেখতে পায়। ফলে রাত আমাদের বিশ্রামের জন্য প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত। রাতে প্রয়োজনীয় মাত্রায় না ঘুমালে হৃদ্রােগ, উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস প্রভৃতি স্বাস্থ্যসমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুম নিয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে। যেমন:
কম ঘুমিয়েও চলা যায়: কম ঘুমের সঙ্গে আমাদের শরীর কখনো অভ্যস্ত হতে পারে না। এর ফলে শরীরে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে।
দিনে ঘুমালে রাতে ঘুম হয় না: দিনের তন্দ্রার সঙ্গে রাতের ঘুমের সম্পর্ক নেই।
ছুটির দিনের বেশি ঘুম: ছুটির দিন বেশি ঘুমিয়ে কম ঘুম পুষিয়ে নেওয়া যায় না। নিয়মিতই ঘুমাতে হয়।
৮ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট: এটি ঠিক নয়। সব বয়সের মানুষের ঘুমানোর সময় এক নয়। তবে দীর্ঘ সময় ঘুমানো মানেই গভীর ঘুম হয়েছে, সে রকম ভাবার কারণ নেই।
লেখক: চিকিৎসক ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ