কেউ ছিলেন ব্যাংকার, কেউ আর্কিটেক্ট আবার কেউ পড়েছেন গ্রাফিকস ডিজাইন বিষয়ে। বিভিন্ন সময় চাকরি করেছেন আবার ছেড়েও দিয়েছেন। এখন সবাই মিলেছেন এক চিন্তায়—চাকরি নয়, করবেন নিজের শখের কাজ, নিজের ব্যবসা। সে চিন্তা থেকেই তাঁরা হয়ে উঠেছেন এক একজন উদ্যোক্তা।
পটের বিবির আয়োজনে এমনই ২৯ জন স্বপ্নবাজ উদ্যোক্তা দিয়ে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে হয়ে গেল উদ্যোক্তা মেলা ‘আনন্দ উঠান’।
মাইডাসের ১২ তলায় নান্দনিক জিনিসের সমাহার ঘটেছিল এ মেলায়। প্রদর্শনী অঞ্চলজুড়ে কাঠের তৈরি বুক ও কফি শেলফ, নেমপ্লেট ও ওয়ালহ্যাংগার। সেই সঙ্গে নিয়মিত পণ্য, যেমন— কাঠের লুডু, বোর্ড গেমস, ফ্রিজ ম্যাগনেট এবং ঘর সাজানোর জিনিসপত্র। দেখা মিলেছে কানের দুল বা ব্যাংকের আদলে তৈরি মাটির টেপা পুতুল। ছিল বিভিন্ন ধরনের বাঁশের ঝুড়ি। এ ছাড়া ছিল হাতে আঁকা পোশাকও।
আনন্দ উঠানে উদ্যোক্তারা ক্রেতাদের সামনে নিজেদের সেরা পণ্যগুলো তুলে ধরতেই সমবেত হয়েছিলেন। আয়োজনে পটের বিবির পক্ষ থেকে ছিল নিজেদের নকশায় তৈরি বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, ব্লাউজ ও স্টিচড ড্রেস।
নান্দনিকতাকে আধুনিকতার সঙ্গে মিশিয়ে ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলো তুলে ধরার উদ্দেশ্যে কাজ করছেন বলে জানান রুপা। চাকরির ধরাবাঁধা নিয়ম ছাপিয়ে নিজের কাজের জন্য নিজে গর্বিত হতে পারাকেই জীবনের সার্থকতা বলে মনে করেন তিনি। আর সেখান থেকেই মৃৎ–এর সৃষ্টি বলে জানান রুপা।
গাছ নিয়ে মেলায় হাজির হয়েছিল নান্দনিক গৃহকোণ। অফিসের ডেস্কে, অন্ধকার ঘরের কোণে বা ছায়াযুক্ত বারান্দায় অনায়াসে বেড়ে উঠতে পারে এমন গাছের সমাহার ছিল সেখানে। সেই সঙ্গে তাঁরা দিচ্ছিলেন গাছের যত্ন বিষয়ক তথ্যও।
গিট্টু, সুতা আর বিভিন্নরকম উপাদান দিয়ে হাতে তৈরি অভিনব নকশার গয়না নিয়ে হাজির হয়েছিল বাঙুরি। হাতে তৈরি কাদা ও অন্যান্য উপাদানের গয়না নিয়ে হাজির ছিল নয়া’য়। দেশীয় ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশেলে তৈরি ধাতব গয়না দেখা গেছে রঙবতীর স্টলে।
ত্বক ও চুলের যত্নের বিভিন্ন উপকরণ এবং মেকআপ আইটেম নিয়ে এসেছিল ম্যাক বাংলাদেশ। সেখানে ছিল বিশ্বখ্যাত ম্যাক, হুদা বিউটি, কালারপপ, এবিএইচ, জেফরি স্টার, সেফোরাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য।
শুক্র ও শনি ছুটির এ দুদিন ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারের এ আয়োজনে ছিল দর্শক ও ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। ক্রেতারা যেমন কিনেছেন তেমনি দেখেছেনও বিভিন্ন পণ্য। আয়োজকদের আশা, তাঁদের প্রতিটি আয়োজনে এভাবেই ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা উপস্থিত থেকে সহায়তা করবেন।