স্কুল খুলেছে জুহুর। সক্কাল সক্কাল তৈরি হয়ে নাশতার টেবিলে এল সে। রুটি, ভাজি আর ডিম। তাড়াহুড়ো করে মুখে পুরছে জুহু। মা একটা কমলা খোসা ছাড়িয়ে রাখলেন জুহুর প্লেটে। দেখেই জুহু ভ্রু কোঁচকাল। মা, এখন কমলা খাব না। এসব ফলটল দিয়ো না তো!
মা বললেন, শোনো, এই যে স্কুল শুরু করেছ। মানে বাইরে যাওয়া শুরু হলো। এখন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে, বুঝলে? ভিটামিন সি না খেলে হবে? আর ফল সকালেই খাওয়া ভালো।
জুহু বলল, আচ্ছা। তাহলে দাও ফল দিয়ে আমি একটা ফুডআর্ট করব। একটা গোল্ডফিশ। মা একটা সাদা প্লেট এগিয়ে দিলেন। জুহু খোসা ছাড়িয়ে রাখা কমলাটা দুই ভাগ করে উপুড় করে রাখল প্লেটের ওপর। তারপর বাকি অর্ধেক কমলা থেকে দুই কোয়া খুলে প্লেটের ওপর রাখা কমলার দুই পাশে বসাল। এবার আরও তিন কোয়া খুলে বানাল লেজ। এবার?
মা, আমাকে দুটো লবঙ্গ এনে দাও না! মা রান্নাঘর থেকে দুটো লবঙ্গ এনে দিলেন। জুহু লবঙ্গ দুটি কমলায় গেঁথে বানাল চোখ। ছবিটা দেখলেই বুঝবে তুমিও।
আচ্ছা, এবার কী হবে? জুহু মাকে বলল, মা, ঠোঁট বানাই কী দিয়ে? মা ফলের ঝুড়ি থেকে লাল আঙুর গোল করে কেটে বানালেন ঠোঁট। এবার মাছের সামনে বুদবুদ দেওয়ার জন্য গোল গোল করে আরও কয়েক টুকরো আঙুর কাটা হলো। আর কমলা দিয়ে বানানো এই গোল্ডফিশটা দেখতে হলো জুহুর অ্যাকুয়ারিয়ামে রাখা ছোট্ট গোল্ডফিশ ‘পিহু’র মতো! এবার এই ছবি দেখে তোমরাও বানাও তো দেখি!