হোম > জীবনধারা

আজ বিশ্ব বই দিবস

২৩ এপ্রিল কেন বই দিবস

ফিচার ডেস্ক

যে ধরনের বই পড়তে আপনি সত্যিকার অর্থেই আগ্রহ বোধ করেন, শুরুর দিকে বেছে নিন সেই ধরনের বইগুলো। মডেল: জাকিয়া সুলতানা, ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ ২৩ এপ্রিল, বুধবার বিশ্ব বই দিবস। ‘বিশ্ব গ্রন্থ ও গ্রন্থস্বত্ব দিবস’ হিসেবেও দিনটির পরিচিতি রয়েছে।

মূলত বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছরের ২৩ এপ্রিল ইউনেসকোর উদ্যোগে দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ঘাঁটলেই চোখে পড়বে এই দিনে নেটিজেনরা নিজেদের প্রিয় বই, বর্তমানে কোন ধরনের বই পড়ছেন, কী কী বই সংগ্রহ করেছেন, সেসব সম্পর্কে প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রিয় বইয়ের পাতা উল্টে পাশে চায়ের কাপ রেখে এরই মধ্য়ে নিশ্চয়ই অনেকে পোস্টও দিয়ে ফেলেছেন, ক্যাপশনে আছে হ্যাশট্যাগ ওয়ার্ল্ড বুক ডে।

পাক্কা বইপড়ুয়ারা আবার এই দিনে প্রিয় মানুষকে বই উপহারও দেন। তবে হ্যাঁ, একটা প্রশ্ন তো মনে জাগতেই পারে, তা হলো, কেন ২৩ এপ্রিলকেই বই দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হলো? উত্তরটা গুছিয়ে বলতে গেলে, সাহিত্য জগতের তিন কিংবদন্তি উইলিয়াম শেক্‌সপিয়ার, মিগেল দে থের্ভান্তেস ও ইনকা গার্সিলাসো দে ভেগার প্রয়াণ দিবস এই ২৩ এপ্রিল। আর এই তিন প্রয়াত সাহিত্যিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৯৫ সালে প্যারিসে ইউনেসকোর সাধারণ অধিবেশনে দিনটিকে বই দিবস হিসেবে উদ্‌যাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়। এর পর থেকে সারা বিশ্বের বইপ্রেমীরা প্রতিবছর দিনটি উদ্‌যাপনের জন্য নানা কিছু করে থাকেন। জানতে চান সেগুলো কী?

এই যেমন পড়ি পড়ি করে দীর্ঘদিন ধরে পড়তে চাচ্ছেন, কিন্তু সময় করে উঠতে পারছেন না, এমন একটি বই পড়তে শুরু করা। এই দিনেই স্থানীয় লাইব্রেরিতে গিয়ে সময় কাটানো বা সদস্য হয়ে যাওয়া। অনেকে পাঠচক্র গড়ে তোলেন দিনটিতে, স্থানীয় স্কুল বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানে নতুন বা পুরোনো বই অনুদানও দেন অনেকে। পুরোনো ও পাতা খুলে যাওয়া বই ভালো করে বাঁধিয়েও কিন্তু নেন অনেকে এই বিশেষ দিনে!

তবে যাঁরা ভাবছেন, আজ থেকে প্রতিদিন বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন বা ফিরে যাবেন বইয়ে মুখ গোঁজার পুরোনো অভ্যাসে, তাঁরা কয়েকটি কাজ করতে পারেন—

বই পড়ার জন্য ঘরের এক কোণে ছোট বুকশেলফ রাখতে পারেন। সেখানে থাকা চাই পড়ার উপযোগী নরম আলো আর আরামদায়ক বসার জায়গা। চাইলে মেঝেতে গদি আর কুশন দিয়েও পড়ার জন্য আরামদায়ক জায়গা বানিয়ে নিতে পারেন। ঝুলিয়ে রাখতে পারেন কয়েকটি ইনডোর প্ল্যান্ট। চায়ে চুমুক দিতে দিতে পছন্দের কোনো বই পড়েই কাটুক অবসর। 

যারা স্ক্রিন টাইম কমাতে চান তাঁদের জন্য ওষুধের মতো কাজ করে বই পড়া। মডেল: অদিতি, ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘদিন পর বই পড়ার অভ্যাসে ফিরতে গেলে প্রায়ই মনোযোগ হারাবেন, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই প্রথম দিকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন বই পড়ার জন্য। এরপর দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় নির্দিষ্ট করুন। তারপর গল্পে ঢুকে গেলে আপনাকে আর থামায় কে?

যে ধরনের বই পড়তে আপনি সত্যিকার অর্থেই আগ্রহ বোধ করেন, শুরুর দিকে বেছে নিন সেই ধরনের বইগুলো। সেটা হতে পারে কল্পকাহিনি, কবিতার বই, প্রেমের গল্প বা গোয়েন্দা কাহিনি, জীবনী বা অন্য কিছু।

যাঁরা স্ক্রিন টাইম কমাতে চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য ওষুধের মতো কাজ করে বই পড়া। যখনই মনে হবে অযথা স্ক্রিনে সময় কাটাচ্ছেন, তখনই প্রিয় বইখানা হাতে তুলে নিন।

বই নিয়ে বসে যেতে পারেন যেকোনো জায়গায়, যেকোনো অবস্থায়। মডেল: মৃত্তিকা, ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রতিদিন একই সময়ে বই পড়ুন। সেটা হতে পারে রাতে ঘুমানোর আগে অথবা দুপুরে বিশ্রামের সময়। ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হবে বই পড়া।

বাসার আশপাশে লাইব্রেরি থাকলে সেখানে নিয়মিত যাওয়া-আসা করুন। বই নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে সেগুলোতে। ফলে পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়। 

প্রথম প্রথম যেমন বই পড়তে ভালো লাগে, ঠিক সেই ধারার বই-ই পড়তে থাকুন। আস্তে ধীরে বইয়ের ধরন বদলে যাবে আপনা থেকে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

আবুধাবি ভ্রমণের আগে যা জানা জরুরি

যেসব বিপজ্জনক খাবার মৃত্যুর কারণ হতে পারে

সাজি ভালোবাসার লাল-সবুজে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

শীতে চামড়া বা কাপড়ের জুতা পরুন

পেট্রোলিয়াম জেলির যত ব্যবহার

রঙিন চুলের বিশেষ যত্ন

এই ডিসেম্বরে যা কিছু করতে পারেন

শীতের রোদে ত্বক পুড়েছে? গোসলের সময় এই প্যাকগুলো ব্যবহারে মিলবে উপকার

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই