পড়াশোনা না করা
চাকরি না হওয়ার অন্যতম কারণ হলো পর্যাপ্ত পড়াশোনা না করা। আপনি যখন অলস সময় পার করছেন, তখন কেউ হয়তো বইয়ের পাতায় চোখ রেখে চাকরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন। ফলে যিনি পড়াশোনা বেশি করছেন, তিনিই দিন শেষে নিজের পছন্দের চাকরিটা পেয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতিযোগিতার যুগ চলছে। এখানে কেউ জায়গা তৈরি করে দেয় না। বরং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে হয়। তাই নিয়মিত পড়াশোনা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি
বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জড়িয়ে আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুবিধা আছে অবশ্যই। তবে ফেসবুক, টুইটার, টিকটক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফল সব সময় ইতিবাচক নয়। দেখা যায়, প্রায়ই পড়ার সময় বইয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার বদলে শিক্ষার্থীর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অন্য কোনো বিষয়। তাই দিন শেষে চাকরিটাও অধরা থেকে যাচ্ছে।
সিলেবাস না বুঝে পড়া
অনেকে বিগত সালের প্রশ্ন বিশ্লেষণ না করে বা সিলেবাস না বুঝে চাকরির জন্য পড়াশোনা করে থাকেন। ফলে কাঙ্ক্ষিত সফলতা ধরা দেয় না। সফল হওয়ার জন্য কাঙ্ক্ষিত চাকরির বিগত সালের প্রশ্ন ও সিলেবাস ভালো করে বুঝে অভিজ্ঞদের পরামর্শসহ প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব।
ইংরেজি ও গণিতে দুর্বল হওয়া
বর্তমানে চাকরির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ইংরেজি ও গণিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুটির মধ্যে যেকোনো একটি বিষয়ে দুর্বল
হলে চাকরি পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। কেননা, প্রায় সব চাকরির পরীক্ষায় এই দুই বিষয়ের ওপর প্রিলিমিনারি ও লিখিত উভয় জায়গাতেই প্রশ্ন থাকে। তা ছাড়া ভাইভাতেও এই দক্ষতা কাজে লাগে। তাই ইংরেজি ও গণিতে দুর্বলতা থাকলে দ্রুত দক্ষ হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।