গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আজ শুক্রবার ফজরের পর মাওলানা ওমর ফারুকের আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের আয়োজনে পাঁচ দিনের জোড়। আগামী ২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এই জোড় ইজতেমার সমাপ্তি হবে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ি নেজামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, প্রতিবছর ইজতেমার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে এই জোড় অনুষ্ঠিত হয়। এখানে তাবলিগের সাথিরা পুরো বছরের কাজের কারগুজারি পেশ করেন এবং মুরব্বিদের থেকে রাহবারি নেওয়ার সুযোগ পান। এ উপলক্ষে দেশ-বিদেশের শুরায়ি নেজামের প্রবীণ মুরব্বিরা ইতিমধ্যে টঙ্গীতে সমবেত হয়েছেন।
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও বলেন, ‘পাঁচ দিনের জোড় তাবলিগ জামাতের সোনালি ঐতিহ্য। দাওয়াতের কাজের চেতনার স্পন্দন জাগানো একটি বিশেষ আয়োজন। এখান থেকেই সারা বছরের কাজের সঠিক নকশা ও দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হয়। দায়িদের আমল, দাওয়াত, তরতিব এবং দেশের প্রেক্ষাপটে করণীয়-নিষ্করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান উপস্থাপন করেন বড়রা; যা একজন সাথির দুনিয়া ও আখেরাতের জিন্দেগি পরিচালনায় দিশা দেয়।’
তিনি আরও জানান, জোড় ইজতেমায় কেবল তিন চিল্লার সাথি এবং কমপক্ষে এক চিল্লা সময় লাগানো আলেমরা অংশ নিতে পারেন। এতে জোড়ের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও গুরুত্ব বজায় থাকে।
হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, একসময় পাঁচ দিনের জোড়ে বয়ান করতেন মাওলানা সাইদ আহমদ খান পালনপুরি (রহ.), মিয়াজি মেহরাব, মাওলানা উমর পালনপুরি (রহ.), মাওলানা ওবাইদুল্লাহ বালিয়াভি (রহ.), কারি জহির (রহ.)-সহ বহু মনীষী। এখনো প্রতিবছর হিন্দুস্তান, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবীণ আলেম ও মাওলানা ইউসুফ (রহ.) ও মাওলানা এনামুল হাসান (রহ.)-এর সোহবতপ্রাপ্ত মুরব্বিরা এসে বয়ান করেন।
পাঁচ দিনব্যাপী এই জোড় থেকে তাবলিগের সাথিরা সারা বছরের দাওয়াতি কাজের পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় রাহবারি (দিকনির্দেশনা) লাভ করবেন বলে আয়োজকেরা জানিয়েছেন।