অর্চি হক: নির্বাচিত হলে ই-ক্যাব সদস্যরা আপনার কাছ থেকে কি পাবেন?
সাইদুর রহমান: নির্বাচিত হলে সদস্যদের মেন্টরিং এবং ই-কমার্স লার্নিং এর যে গ্যাপ রয়েছে তা পূরণ করতে চাই। সদস্যদের ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট বা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে চাই। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-কমার্স ক্লাব এবং একটি পরিপূর্ণ ই-কমার্স ইনস্টিটিউট গড়তে চাই যেখানে ই-কমার্সে ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুকেরা যথাযথ দিকনির্দেশনা পাবে।
অর্চি হক: ই-কমার্স খাতে আপনার অবদান কি?
সাইদুর রহমান: আমি ১০ বছর ধরে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি, উদ্যোক্তাদের অনেক ক্ষেত্রেই জানার পরিধি সীমিত। এটা পূরণ করার লক্ষ্যে ‘ই-বিজনেস স্কলার’ নামে দেশের একমাত্র ই-কমার্স লার্নিং প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করছি। ই-ক্যাবের শুরু থেকে অর্থাৎ ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। ই-ক্যাবের রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য, এরপর কনটেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, পরের মেয়াদে ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমান মেয়াদে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। যেখানে আমার মূল কাজ ছিল সদস্যদের নিয়ে কাজ করা। একেবারে শুরুর দিকে সরকারের ই-কমার্স ট্রেনিংয়ের কো-অর্ডিনেটর এবং সিলেবাস প্রণয়নে কাজ করেছি। এ ছাড়া ই-কমার্স নিয়ে ফান্ডামেন্টাল অব ই-কমার্স, ডিজিটাল মার্কেটিং ফর ই-কমার্স, ট্রান্সফরমেশন অব বিজনেস টু ই-বিজনেসসহ ৭টি বই লিখেছি আমি।
অর্চি হক: ‘অগ্রগামী’ প্যানেল থেকেই কেন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন?
সাইদুর রহমান: অগ্রগামী প্যানেলে যারা আছেন তাঁরা দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। এই মুহূর্তে দেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে এবং অসম্পূর্ণ কাজগুলো ঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য অগ্রগামী প্যানেলের নির্বাচিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এ জন্যই আমি তাদের সঙ্গে আছি।
অর্চি হক: নির্বাচনকে ঘিরে আপনার প্রত্যাশা কি?
সাঈদ রহমান: সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন হবে। ই-কমার্সের অগ্রগতিতে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব।