ইউক্রেন ইস্যুতে দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছেই। ইউক্রেনকে ন্যাটো থেকে দূরে রাখার দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। তবে সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে আক্রমণ চালালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন বাইডেন। রাশিয়া জবাবে বলেছে, নিষেধাজ্ঞা দিলে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেনকে ন্যাটো থেকে দূরে রাখার রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়াকে কূটনৈতিক পন্থায় সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘কূটনীতিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। একই সঙ্গে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রতিক্রিয়াও ঠিক করছি।’
রাশিয়ার একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্তা পেয়েছেন এবং ন্যাটোর সঙ্গে তা সমন্বয় করছেন।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রায় এক লাখ রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, শিগ্গিরই ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তবে রাশিয়া বরাবরই ইউক্রেনে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ান সেনাদের সংখ্যা বাড়ায় পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েন করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তাই ৮ হাজার ৫০০ সেনাকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি।
আরও পড়ুন:
ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ার সেনা মহড়া