হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

শাটডাউনকে রাজনৈতিক প্রতিশোধের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

প্রতীকী ছবি

শাটডাউনে চলে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। গত মঙ্গলবার বাজেট ইস্যুতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে, চলমান এই অচলাবস্থাকে রাজনৈতিক প্রতিশোধের সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এই অচলাবস্থা কাজে লাগিয়ে ফেডারেল কর্মী বাহিনীকে পুনর্গঠন ও তাঁর সমালোচকদের শাস্তি দিতে পারেন। ইতিমধ্যে তিনি কর্মীদের গণহারে ছাঁটাই এবং ডেমোক্র্যাটদের প্রকল্পগুলোতে কাটছাঁট করার হুমকি দিয়েছেন।

সাধারণত, সরকারি তহবিলের অভাব দেখা দিলে কর্মীদের শুধু ছুটিতে পাঠানো হয়, কিন্তু হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, এবার কর্মী ছাঁটাই করা হবে। এর পাশাপাশি, অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি) ঘোষণা করেছে, তারা নিউইয়র্কের সাবওয়ে এবং হাডসন টানেল প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার অবকাঠামো তহবিল স্থগিত করছে। এই প্রকল্পগুলো মার্কিন হাউস ও সিনেটের ডেমোক্রেটিক নেতাদের নিজের শহরে অবস্থিত।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর বাজেট পরিচালকের কাজ দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি ওএমবি পরিচালক রাস ভাউটের প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি বাজেটের ব্যাপারটা এমনভাবে কমাতে পারেন, যা অন্য কোনো উপায়ে সম্ভব হতো না।’ উল্লেখ্য, ভাউট রক্ষণশীল নীতিবিষয়ক বই ‘প্রজেক্ট ২০২৫’-এর অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন। হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘সুতরাং, তারা (ডেমোক্র্যাটরা) অচলাবস্থা জারি রেখে ঝুঁকি নিচ্ছেন।’

মার্কিন সরকারে অচলাবস্থার আজ দ্বিতীয় দিন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসা এই কঠোর পদক্ষেপ এমন এক পরিস্থিতি, যা নিয়ে আইনপ্রণেতারা ও বাজেট পর্যবেক্ষকেরা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন। তাঁরা আশঙ্কা করছিলেন, যদি কংগ্রেস সরকার পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় আইন পাস করতে ব্যর্থ হয়, তবে হোয়াইট হাউসের হাতে নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে।

এর আগে গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে হাউস জিওপি আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে একটি ব্যক্তিগত কনফারেন্সে ওএমবি পরিচালক ভাউট জানান, আগামী দুই দিনের মধ্যে ছাঁটাই শুরু হবে। এই পদক্ষেপটি বছরের শুরুতে ইলন মাস্কের অধীনে শুরু হওয়া ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি কাজেরই সম্প্রসারণ, যেখানে ফেডারেল সরকারে ব্যাপক কাটছাঁট করা হয়েছিল।

হাউসের ডেমোক্রেটিক নেতা হাকিম জেফ্রিস ট্রাম্পের প্রথম দিনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘২০ জানুয়ারি থেকে ট্রাম্প প্রশাসন এসব কাজ করে আসছে। এই নিষ্ঠুরতাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।’

এই অচলাবস্থার কোনো সহজ সমাধান না থাকায়, পরিস্থিতি অক্টোবরের মধ্যে খারাপ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কাজে থাকা ফেডারেল কর্মীরা তাঁদের বেতন পাবেন না। নিরপেক্ষ কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) অনুমান করছে, এই অচলাবস্থার সময় প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ফেডারেল কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হতে পারে।

সিবিও সতর্ক করে বলেছে, এই অচলাবস্থার অর্থনৈতিক প্রভাবগুলো বৃহত্তর অর্থনীতিতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। পূর্ববর্তী অচলাবস্থাগুলোতে পণ্য ও পরিষেবার জন্য বেসরকারি খাতে সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পেয়েছিল, যা জিডিপি কমিয়ে দেয়। সিবিও আরও জানায়, পণ্য ও পরিষেবার ওপর ফেডারেল ব্যয় থমকে যাওয়ায় বেসরকারি খাতের আয়ের ক্ষতি হয়েছিল, যা অর্থনীতিতে অন্যান্য পণ্য ও পরিষেবার চাহিদাকে আরও কমিয়ে দেয়। তবে কর্মীরা কাজে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই এই অর্থনৈতিক স্থবিরতা উল্টো দিকে ঘুরে যায় বলেও উল্লেখ করেছে সিবিও।

মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ভেনেজুয়েলা ছাড়তে বলল স্টেট ডিপার্টমেন্ট

এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানোর পর এবার যাচাই প্রক্রিয়াও কঠোর করল ট্রাম্প প্রশাসন

সোমালি অভিবাসীদের ‘আবর্জনা’ বললেন ট্রাম্প

আমি আগের তুলনায় এখন আরও বেশি প্রাণবন্ত—বলেই মন্ত্রিসভায় ঘুমিয়ে পড়লেন ট্রাম্প

বাইডেনের ‘অটোপেনে’ সই করা সব নথি বাতিল করছেন ট্রাম্প

গ্রিন কার্ড থেকে নাগরিকত্ব—১৯ দেশের অভিবাসীদের সব আবেদন থামিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে শ্রম আইন লঙ্ঘন: ৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা দিচ্ছে স্টারবাকস

ট্রাম্পের এমআরআই পরীক্ষার রিপোর্টে যা আছে

‘শিগগির ক্ষমতা ছাড়’—মাদুরোকে ট্রাম্পের আলটিমেটাম

আমার মাথায় সমস্যা নেই, বিশ্বাস না হলে এমআরআই রিপোর্ট দেখাব—সাংবাদিকদের ট্রাম্প