হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

ট্রাম্প ইজ ডেড—এক্সে সবাই কেন লিখছে এই কথা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবার শুরু হয়েছে গুজবের ঝড়। কয়েক দিন ধরে এক্সে ভাইরাল ছিল ‘ট্রাম্প মারা গেছেন’ (Trump Is Dead) হ্যাশট্যাগ। এতে অনেকে ভেবেছেন, ট্রাম্প কি সত্যিই মারা গেছেন? কিন্তু আসল ঘটনা ভিন্ন।

এই ভাইরাল ট্রেন্ডের মূল কারণ দুটি মন্তব্য। প্রথমত, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের একটি সাক্ষাৎকার; এবং দ্বিতীয়ত, জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ ‘দ্য সিম্পসন্স’-এর নির্মাতার একটি মন্তব্য। এই গুজবকে আরও উসকে দিয়েছে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং তাঁর ওপর দুটি ব্যর্থ গুপ্তহত্যার চেষ্টা।

গত ২৭ আগস্ট ইউএসএ টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে জিজ্ঞেস করা হয়, কোনো ‘ভয়াবহ বিপর্যয়’ (Terrible Tragedy) ঘটলে কি তিনি দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত? উত্তরে ভান্স বলেন, ‘হ্যাঁ, ভয়াবহ ট্র্যাজেডি হতেই পারে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, প্রেসিডেন্ট ভালো আছেন এবং তিনি তাঁর মেয়াদ শেষ করবেন।’

ভান্সের এই ‘ভয়াবহ বিপর্যয়’ মন্তব্য থেকে অনেকে ধরে নেন, ট্রাম্পের মৃত্যু নিয়ে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এরপরই এক্সে ভাইরাল হয় ‘ট্রাম্প মারা গেছেন’ (Trump Is Dead) হ্যাশট্যাগ।

৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে আগেও নানা প্রশ্ন উঠেছে। জুলাই মাসে হোয়াইট হাউস জানায়, তিনি ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি রোগে ভুগছেন। এই রোগের কারণে তাঁর পা ফুলে যায়। এর আগে তাঁর পা ফুলে থাকা ছবিগুলো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি দুই দফা হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। এসবই অনলাইনে গুজব উসকে দেয়।

এই গুজব ছড়ানোর পেছনে আরেকটি বড় কারণ দ্য সিম্পসনসের নির্মাতা ম্যাট গ্রোয়েনিংয়ের মন্তব্য। সান ডিয়েগো কমিক-কনে তিনি বলেন, এই শো তত দিন চলবে, যত দিন না ‘কেউ মারা যায়’। এরপর তিনি রহস্য করে বলেন, ‘যখন আপনি জানেন কে মারা যাবে, তখন দ্য সিম্পসন্স ভবিষ্যদ্বাণী করছে, রাস্তায় নাচানাচি হবে। তবে প্রেসিডেন্ট ভান্স আমাদের নাচ নিষিদ্ধ করবেন।’

সিম্পসন্সের ভবিষ্যদ্বাণী আগেও সত্যি হয়েছিল। যেমন ২০০০ সালে বিল ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট হওয়া, ২০১৫ সালে পুনর্নির্বাচন ইত্যাদি। ফলে গ্রোয়েনিংয়ের ওই মন্তব্য গুজবকে নতুন মাত্রা দেয়।

তবে ট্রাম্পকে নিয়ে এমন গুজব এটাই প্রথম নয়। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের এক্স অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে পোস্ট দেওয়া হয়েছিল, তাঁর বাবা মারা গেছেন। পরে ট্রাম্প নিজেই ট্রুথ সোশ্যালে এসে জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ভেনেজুয়েলা ছাড়তে বলল স্টেট ডিপার্টমেন্ট

এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানোর পর এবার যাচাই প্রক্রিয়াও কঠোর করল ট্রাম্প প্রশাসন

সোমালি অভিবাসীদের ‘আবর্জনা’ বললেন ট্রাম্প

আমি আগের তুলনায় এখন আরও বেশি প্রাণবন্ত—বলেই মন্ত্রিসভায় ঘুমিয়ে পড়লেন ট্রাম্প

বাইডেনের ‘অটোপেনে’ সই করা সব নথি বাতিল করছেন ট্রাম্প

গ্রিন কার্ড থেকে নাগরিকত্ব—১৯ দেশের অভিবাসীদের সব আবেদন থামিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে শ্রম আইন লঙ্ঘন: ৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা দিচ্ছে স্টারবাকস

ট্রাম্পের এমআরআই পরীক্ষার রিপোর্টে যা আছে

‘শিগগির ক্ষমতা ছাড়’—মাদুরোকে ট্রাম্পের আলটিমেটাম

আমার মাথায় সমস্যা নেই, বিশ্বাস না হলে এমআরআই রিপোর্ট দেখাব—সাংবাদিকদের ট্রাম্প