তীব্র গরমের জন্য বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত ডেথ ভ্যালি। ১৯১৩ সালে ওই এলাকার তাপমাত্রা ৫৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ হয়ে রেকর্ড গড়েছিল। এবার এক শতাব্দীরও বেশি সময় আগের সেই তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তীব্র সেই গরম অনুভব করার জন্য এলাকাটিতে আস্তানা গাড়ছেন অসংখ্য পর্যটক।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে গরম স্থান ডেথ ভ্যালিতে এখন পর্যটকের ঢল নেমেছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই ওই এলাকাটির তাপমাত্রা ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে।
পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে ডেথ ভ্যালি পার্কের রেঞ্জার জিওভান্না পোন্স বলেন, ‘আমরা প্রচুর পর্যটক দেখতে পাচ্ছি। তাঁরা সবাই তাপমাত্রা নির্দেশক বিশাল থার্মোমিটারের সঙ্গে ছবি তুলতে চান। তাঁরা এমন গরম পরিবেশে থাকতে কেমন লাগে তা উপভোগ করতে চান।’
ডেথ ভ্যালির গরম উপভোগ সম্পর্কে সেখানে অবস্থান করা পর্যটক অ্যালেসিয়া ডেম্পস্টার বলেন, ‘খুব গরম! যখন বাতাস থাকে, আপনি ভাববেন—এটি আপনাকে তাপ থেকে কিছুটা রেহাই দেবে। কিন্তু আসলে মনে হবে একটি হেয়ার ড্রাইয়ারের বাতাস আপনার মুখের ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে।’
মজার বিষয় হলো—‘দ্য হিট উইল কিল ইউ ফার্স্ট’ বইটির লেখক জেফ ফুডেল গরম উপভোগ করা পর্যটকদের নিয়ে একটি টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি চরম তাপ নিয়ে একটি বই লিখে চার বছর অতিবাহিত করেছি। কিন্তু একটি জিনিস কল্পনাও করিনি যে, মস্তিষ্ক গলে যাওয়ার মতো তাপমাত্রা পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হবে।’
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার র্যান্ডি সেভার্নি বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের তাপমাত্রা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’