৭ অক্টোবর ইসরায়েল ইরানে হামলা চালাতে পারে, এমন আলাপ বাজারে চালু আছে। তবে এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, এটি বলা কঠিন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সিএনএনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল দেশটির পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এ তথ্য জানা গেল।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। আর দুদিন পর সেই হামলার এক বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। হামাসের সেই হামলায় ইসরায়েলের প্রায় ১ হাজার ১৫০ জন সামরিক-বেসামরিক লোক মারা যায়।
হামাসের হামলার জবাবে সেদিনই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৪২ হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১ লাখ।
হামাসের হামলার এক বছর পূর্তির দিনে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে হামলা চালাবে কি না—সিএনএনের এমন এক প্রশ্নে স্টেট ডিপার্টমেন্টের জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এটা বলা সত্যিই কঠিন।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি মনে করি, যেকোনো উপায়েই হোক, তারা ৭ অক্টোবরকে এড়াতে চাইবে। তাই আমার অনুমানে যদি কিছু ঘটে, তবে সেটি এই দিনের আগে বা পরে হবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক বছর ধরে এই সংঘাতকে বৃহত্তর যুদ্ধে রূপান্তরিত হতে বাধা দেওয়ার জন্য কাজ করছে এবং এখন পর্যন্ত তা করে যাচ্ছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের এই প্রচেষ্টা খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে। এর আগে, বাইডেন জানিয়েছিলেন, মার্কিন কর্মকর্তারা দিনে অন্তত ১২ ঘণ্টা ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।