চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে দাঙ্গার ঘটনার তদন্তে অবশ্যই তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্থানীয় সময় শুক্রবার এমন নির্দেশনা দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আর্কাইভসে একটি চিঠি গেছে হোয়াইট হাউস থেকে। তাতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, কোনো নির্বাহীর ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধার চাইতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ অনেক বড় ও গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে সাবেক প্রেসিডেন্টদের সহযোগী ও প্রশাসন বিষয়ক কিছু তথ্য গোপন রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শাসনতন্ত্রে এ সংক্রান্ত বিধান থাকার কারণে এরইমধ্যে ট্রাম্পের অন্যতম সহযোগী স্টিভ ব্যানন দাঙ্গার তদন্তকারীদের সহযোগিতা করতে গড়িমসি করছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রাম্পকে তলব করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তারা, কিন্তু তাতে সাড়া দেননি তিনি।
এ ঘটনার জেরই বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, ক্যাপিটল দাঙ্গা তদন্ত ইস্যুতে ট্রাম্পের বেলায় এই সুবিধা কার্যকর হবে না।
গত আগস্টে এ ঘটনার তদন্তে গঠিত কংগ্রেস কমিটি ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কিত কিছু রেকর্ড চেয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। কমিটির চাওয়া রেকর্ডগুলোর মধ্যে ট্রাম্পের যোগাযোগ, তার পরিবারের সদস্য, শীর্ষ সহযোগী, তার আইনজীবী ও তার প্রশাসনের সাবেক সদস্যদের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তদন্ত দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, ক্যাপিটলে দাঙ্গার ঘটনায় ট্রাম্পের সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য ট্রাম্পের চার সহযোগীকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁদেরই একজন স্টিভ ব্যানন। বাকি তিন জন হলেন- ট্রাম্পের সাবেক চিফ অব স্টাফ মার্ক মেডোস, ট্রাম্পের সাবেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপক ড্যান স্ক্যাভিনো এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী পেন্টাগনের সাবেক চিফ অব স্টাফ ক্যাশ প্যাটেল।
তদন্তকারী দলের সদস্যরা বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তদন্তে সহযোগিতা করতে গড়িমসি করছেন ব্যানন।
আগামী ২০২২ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের নির্বাচন হবে। ব্যানন হয়তো ভাবছেন- আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীরা জয়ী হবে। এ কারণেই অসহযোগিতা করছেন তিনি।
গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে যখন যুক্তরষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য অধিবেশন শুরু হয়েছিল, সেসময় সেখানে হামলা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েক শ’ সমর্থক। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ১৩ জন।