১৯৬০-এর দশকের শুরুর দিকে যাত্রা শুরু করে বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস কিটি হক’। এই রণতরিকে ভিয়েতনামের উপকূলে মার্কিন বাহিনীর শক্তির বড় প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মার্কিন নৌবাহিনীতে এই রণতরিকে প্রায় ৫০ বছর ধরে কাজে লাগানো হয়। পরে ২০০৯ সালে এটির ব্যবহার বন্ধ করা হয়।
ভিয়েতনাম থেকে পারসিয়ান উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং সোভিয়েত সাবমেরিনের সঙ্গে সংঘর্ষেও এই রণতরি টিকে ছিল। ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৬৮ সালের জুন পর্যন্ত ভিয়েতনামে চালানো কর্মকাণ্ডের জন্য এই রণতরি এবং এর এয়ার উইংকে প্রেসিডেনশিয়াল ইউনিট প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়েছিল। সর্বশেষ ১৯৭২ সালে এই রণতরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল।
বিমানবাহী রণতরি কিটি হকের এসব গৌরবগাথা ইতিহাস এখন শুধুই অতীত। বর্তমানে এই রণতরী ওয়াশিংটন থেকে টেক্সাসে ১৬ হাজার মাইল দীর্ঘ যাত্রায় রয়েছে। টেক্সাসে এই রণতরিকে কেটে টুকরো টুকরো করে বিক্রি করে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রণতরিটি দৈর্ঘ্যে ১ হাজার ৪৭ ফুট, প্রস্থে ২৫২ ফুট। এটি পানামা খাল দিয়ে চলাচল করতে না পারায় দক্ষিণ আমেরিকার উপকূল ধরে গালফ অব মেক্সিকো হয়ে টেক্সাসের পথে রওনা হয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত বছর ইউএস ন্যাভাল সি সিস্টেমস কমান্ডের কাছ থেকে টেক্সাসের ইন্টারন্যাশনাল শিপব্রেকিং লিমিটেড এই রণতরি এক ডলারেরও কম মূল্যে কিনে নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরিগুলোর মধ্যে এটিই তেলচালিত রণতরি। একসময় এই রণতরি ভিয়েতনামের ওপর দিয়ে দিনে শতাধিকবার মহড়া দিত।