বন্যা এবং অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানকে চীনের কাছে ঋণ মওকুফের আহ্বান জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বন্যা পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানকে সহায়তা দেওয়ারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গত সোমবার ব্লিঙ্কেন পাকিস্তানের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী চীনের কাছে এই আহ্বান জানাতে পরামর্শ দেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে বৈঠকের পর ওয়াশিংটনে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা তাদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছি। আমরা পাকিস্তানের পাশে আছি, যেমন ছিলাম অতীতের যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন পাকিস্তানকে কীভাবে পুনর্গঠিত করা যায় তা নিয়ে ভাবছি।’
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘আমি আমার পাকিস্তানি মিত্রের কাছে অনুরোধ করেছি যেন–তাঁরা চীনের কাছে ঋণ মওকুফ এবং নবায়নের বিষয়ে আবেদন জানায়। যাতে দেশটি খুব দ্রুত বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে।’ এরই মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ৫৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছে এবং এরই মধ্যে ১৭টি কার্গো বিমান ভর্তি করে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা সামগ্রী পাঠিয়েছে।
চীন পাকিস্তানের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। দেশটিতে চীন ৫৪০ কোটি ডলার ব্যয়ে অর্থনৈতিক করিডর স্থাপনের প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে যা চীনকে পাকিস্তান হয়ে সরাসরি ভারত মহাসাগরে প্রবেশের সুযোগ দেবে। চীনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও পাকিস্তানের অন্যতম সহযোগী দেশ। বিগত কয়েক বছর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বেশ খানিকটা শীতল থাকলেও বর্তমানে তা আবারও নতুন করে উষ্ণতা লাভ করেছে।
পাকিস্তানের এই বন্যায় অন্তত ১৬ শ পাকিস্তানি নাগরিকের মৃত্যু হয় যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই শিশু। এই বন্যায় পাকিস্তানের এত বেশি পরিমাণ জায়গা প্লাবিত হয়েছিল যে, তার আয়তন প্রায় যুক্তরাজ্যের আয়তনের সমান।