দুই দশকেরও বেশি সময় পর প্রখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক হান্টার এস থম্পসনের মৃত্যুর ঘটনাটি আবারও পর্যালোচনা করার ঘোষণা দিয়েছে কলোরাডো ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, এই পর্যালোচনা পিটকিন কাউন্টি শেরিফ অফিসের পরামর্শে শুরু করা হচ্ছে।
বুধবার সিএনএন জানিয়েছে, থম্পসন ২০০৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি কলোরাডোর উডি ক্রিকের নিজ বাড়িতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। সে সময় এটি আত্মহত্যা বলে রায় দেওয়া হয়েছিল। তবে সম্প্রতি থম্পসনের স্ত্রী আনিতা থম্পসনের অনুরোধে মামলাটি আবারও নতুন করে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পিটকিন কাউন্টির শেরিফ মাইকেল বাগলিওনে বলেন, ‘হান্টার এস থম্পসন এই সম্প্রদায়সহ বিশ্বজুড়ে গভীর প্রভাব ফেলেছেন। আমরা চাই, বাইরের সংস্থা নতুনভাবে বিষয়টি দেখুক। এতে তাঁর পরিবার ও জনসাধারণ স্বচ্ছ ও চূড়ান্ত একটি সিদ্ধান্ত পেতে পারেন।’
সিএনএন আরও জানিয়েছে, তারা গনজো ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। থম্পসনের স্ত্রী আনিতা প্রতিষ্ঠিত এই অলাভজনক সংস্থা থম্পসনের উত্তরাধিকার ধারণ করে সাহিত্য, সাংবাদিকতা ও রাজনৈতিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।
হান্টার এস থম্পসন মূলত পরিচিত ১৯৭১ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘লাস ভেগাসে ভয় এবং ঘৃণা’-এর জন্য। বইটিতে তিনি ১৯৬০-এর দশকের পাল্টা সংস্কৃতির প্রভাব ও মাদক-অ্যালকোহলের অপব্যবহারকে তুলে ধরেন।
‘গনজো জার্নালিজম’ শব্দটির প্রচলনও থম্পসনের হাত ধরেই। তিনি প্রায়ই নিজের লেখায় নিজেকে চরিত্রে রূপ দিতেন, যা সাংবাদিকতার নতুন ধারা তৈরি করে।
সিবিআই জানিয়েছে, তদন্ত শেষ হতে কত সময় লাগবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে তদন্ত শেষ হলে ফলাফল জানানো হবে।