হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

২,৮৯৩ কোটি টাকায় বিক্রি হয়ে রেকর্ড গড়ল ক্লিমটের বিরল চিত্রকর্ম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

গত কয়েক দশক ধরে বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী লিওনার্দ এ লডারের বাড়িতে টাঙানো ছিল রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া ক্লিমটের এই চিত্রকর্মটি। ছবি: সিএনএন

নিউইয়র্কে সথেবিজ নিলাম সংস্থার নতুন মার্কিন সদর দপ্তরে প্রথম নিলামেই রচিত হলো ইতিহাস। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সেখানে গুস্তাভ ক্লিমটের বিরল চিত্রকর্ম ‘পোর্ট্রেট অব এলিজাবেথ লেডারার’ নিলামে তোলা হলে ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকারও বেশি। শুধু মার্কিন শাখাই নয়, এখন পর্যন্ত এটি সথেবিজ নিলাম সংস্থার যে কোনো শাখার ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া চিত্রকর্ম।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, চিত্রকর্মটি ক্লিমটের শেষ জীবনের কাজ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্লিমটের অন্যান্য চিত্রকর্মের সঙ্গে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এটি সৌভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়েছিল। চিত্রকর্মটিতে যে নারীর প্রতিকৃতি দেখা যায়, তিনি ছিলেন শিল্পীর পৃষ্ঠপোষক লেডারার পরিবারের কন্যা। প্রসাধনী ব্র্যান্ড এস্টি লডারের উত্তরাধিকারী প্রয়াত লিওনার্দ এ লডারের সংগ্রহে ছিল এই প্রতিকৃতি।

সথেবিজ-এর ইউরোপীয় চেয়ারম্যান অলিভার বার্কার নিলামের সময় বলেন, ‘ক্লিমটের এত উচ্চমানের প্রতিকৃতি বাজারে আর পাওয়া যাবে না—এটাই ছিল শেষ সুযোগ।’ গত বছর ক্লিমটের সর্বশেষ চিত্রকর্ম ‘ডেমে মিট ফ্যাখার’ বিক্রি হয়েছিল ১০ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ হাজার ৩২৬ কোটি টাকারও বেশি।

গুস্তাভ ক্লিমট (১৮৬২–১৯১৮) ছিলেন অস্ট্রিয়ার আধুনিক শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ। স্বর্ণপাতা ব্যবহৃত আলংকারিক শৈলী, সূক্ষ্ম নকশা এবং গভীর মনস্তাত্ত্বিক প্রতিকৃতির জন্য তিনি বিশ্বখ্যাত। তাঁর বিখ্যাত ‘গোল্ডেন ফেজ’-এ তৈরি কাজগুলো—যেমন ‘দ্য কিস’ বা ‘জুডিথ’—ইউরোপীয় আধুনিক শিল্পে নতুন ভাষা প্রতিষ্ঠা করে। নারীর রূপ, আবেগ, বেদনা ও রহস্যময় সৌন্দর্য তাঁর কাজে অনন্যভাবে ফুটে ওঠে। জীবদ্দশায় ক্লিমট ধনী পৃষ্ঠপোষকদের প্রতিকৃতি আঁকলেও জীবনের শেষভাগে তিনি আরও ব্যক্তিগত ও পরীক্ষাধর্মী নন্দন ভুবনে পা রাখেন। আজও তাঁর চিত্রকর্ম নিলামবাজারে সর্বোচ্চ মূল্য পাওয়া শিল্পকর্মের তালিকায় শীর্ষে থাকে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে সথেবিজের মার্কিন দপ্তরে অনুষ্ঠিত প্রথম নিলাম রাতে লডার সংগ্রহের আরও বেশ কিছু কাজ উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে এডভার্ড মুঙ্কের একটি চিত্রকর্ম ৩ কোটি ৫১ লাখ ডলারে, আর ক্লিমটের একটি ল্যান্ডস্কেপ ৮ কোটি ৬০ লাখ মিলিয়নে বিক্রি হয়েছে। শুরু থেকেই এই নিলামে উত্তেজনা ছিল। প্রথম লটে আলেক্সান্ডার ক্যালডারের একটি ভাস্কর্য অনুমানের চেয়েও প্রায় তিনগুণ দামে বিক্রি হয়। দিন শেষে লডার সংগ্রহ থেকে বিভিন্ন শিল্পের বিক্রি দাঁড়ায় মোট ৫২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

তবে রাতের সবচেয়ে অদ্ভুত লট ছিল মাউরিজিও ক্যাটেলানের ২২০ পাউন্ড ওজনের ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের টয়লেট ‘আমেরিকা’। বাস্তবে ব্যবহারের উপযোগী এই ভাস্কর্যের একটি সংস্করণ আগে গুগেনহাইমে প্রদর্শিত হয়েছিল, যা পরবর্তীতে ব্লেনহেইম প্যালেস থেকে চুরি হয়ে যায় এবং আর উদ্ধার হয়নি। এবার নিলামে এই টয়লেটের শুরুর মূল্য নির্ধারিত হয় স্বর্ণের বাজারদর অনুযায়ী প্রায় ১ কোটি ডলার। তবে এটি কেনার জন্য মাত্র একটি ডাক আসে একটি পরিচিত মার্কিন ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে। ফি-সহ পরে এটির মূল্য দাঁড়ায় ১ কোটি ২১ লাখ ডলার।

সথেবিজের লক্ষ্য নিউইয়র্কের সপ্তাহজুড়ে নিলাম থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সংগ্রহ করা। ২০২৪ সালে বৈশ্বিক শিল্পবাজার মন্দার মুখে পড়ে এবং বড় গ্যালারিগুলো চাপে পড়ে। তবে সাম্প্রতিক কিছু সফল নিলাম এই বাজার আবারও চাঙা হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই সপ্তাহে সথেবিজের আরেক চমক হতে পারে—ফ্রিদা কাহলোর মানসিকভাবে তীব্র চিত্র ‘এল সুয়েনো (লা কামা) ’। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বখ্যাত এই নারী শিল্পীর সর্বাধিক দামি চিত্রকর্মের রেকর্ড এবার ভেঙে যাবে।

এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানোর পর এবার যাচাই প্রক্রিয়াও কঠোর করল ট্রাম্প প্রশাসন

সোমালি অভিবাসীদের ‘আবর্জনা’ বললেন ট্রাম্প

আমি আগের তুলনায় এখন আরও বেশি প্রাণবন্ত—বলেই মন্ত্রিসভায় ঘুমিয়ে পড়লেন ট্রাম্প

বাইডেনের ‘অটোপেনে’ সই করা সব নথি বাতিল করছেন ট্রাম্প

গ্রিন কার্ড থেকে নাগরিকত্ব—১৯ দেশের অভিবাসীদের সব আবেদন থামিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে শ্রম আইন লঙ্ঘন: ৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা দিচ্ছে স্টারবাকস

ট্রাম্পের এমআরআই পরীক্ষার রিপোর্টে যা আছে

‘শিগগির ক্ষমতা ছাড়’—মাদুরোকে ট্রাম্পের আলটিমেটাম

আমার মাথায় সমস্যা নেই, বিশ্বাস না হলে এমআরআই রিপোর্ট দেখাব—সাংবাদিকদের ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে হোয়াইট হাউসে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ট্রাম্প