হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

নিজের উত্তরসূরি ঘোষণা করলেন খামেনি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি: খামেনির কার্যালয়

চলমান সংঘাতে প্রাণনাশের আশঙ্কায় সম্ভাব্য তিনজন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যে কোনো সময় গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারেন, এমন শঙ্কায় বর্তমানে বাংকারে অবস্থান করছেন তিনি। অবস্থান গোপন রাখতে মোবাইল ফোনসহ যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকছেন। কেবল বিশ্বস্ত দূতের মাধ্যমে সেনা কর্মকর্তাসহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ব্যক্তির মৃত্যু এবং ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর খামেনিকে হত্যার সরাসরি হুমকির পর যে কোনো পরিস্থিতির জন্য যেন ইরানের নেতৃত্ব প্রস্তুত থাকে, তা নিশ্চিতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ইরান। ইরানি কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশটির তিনজন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, ইরানের শীর্ষস্থানীয় সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন। পাশাপাশি খামেনিকেও সরাসরি হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে নিজের এবং শীর্ষ নেতাদের উত্তরসূরি ঠিক করেছেন খামেনি। নিজে নিহত হলে যেন দ্রুত তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করা যায়, এ জন্য তিন জ্যেষ্ঠ নেতার নাম অনুমোদন করেছেন খামেনি।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলা শুরুর পর থেকে একাধিকবার খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় মৃত্যু হতে পারে—এমন মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন খামেনি। তাই, আগেভাবেই নিজের বিকল্প প্রস্তুত করে রেখেছেন তিনি। সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বাছাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘মজলিশে খোবরেগান-ই-রাহবারি’ বা নেতৃত্ব নির্ধারণে বিশেষজ্ঞ পরিষদকে খামেনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মৃত্যু হলে যেন তাঁর দেওয়া নামের মধ্য থেকেই দ্রুত নতুন সর্বোচ্চ নেতা বেছে নেওয়া হয়। তবে, খামেনি যাদের নাম অনুমোদন করেছেন, তা গোপন রাখা হয়েছে।

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, খামেনির মৃত্যু হলে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ পরিষদ তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করে। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর মাত্র একবারই এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে হয়েছে। ১৯৮৯ সালে খামেনিকে এই প্রক্রিয়ায় বেছে নেওয়া হয়। তাঁর পর সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার কথা ছিল ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির। তবে, ২০২৪ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় রাইসির, সেই দুর্ঘটনাকেও অনেকে গুপ্তহত্যা বলেই বিশ্বাস করেন। রাইসির মৃত্যুর পর অনেকেই ভেবেছিলেন, খামেনিপুত্র মুস্তাবা হবেন ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা। তবে, নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, খামেনি যে তিন নেতার নাম প্রস্তাব করেছেন, তাঁদের মধ্যে পুত্র মুস্তাবার নাম নেই।

আরও খবর পড়ুন:

গাজায় হামাসবিরোধী ইসরায়েলি প্রক্সি গোষ্ঠীর নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত, কে তিনি

গাজায় যুদ্ধবিরতি খুব ভালোভাবে চলছে, দ্বিতীয় ধাপ শুরু শিগগির: ট্রাম্প

মার্কিন মধ্যস্থতায় ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় লেবানন-ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের নেলসন ম্যান্ডেলা: বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে সোচ্চার দুই শতাধিক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

‘সর্বত্র ভূত দেখে’ যত্রতত্র ‘বোমা ফেলছেন বিবি’, লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান—পোপ

দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা

গাজার পুলিশ বাহিনী গঠনে হাজারো ফিলিস্তিনিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিসর

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে, নিহত ৭০ হাজার ছাড়াল

সংঘবদ্ধ নির্যাতন ‘কার্যত’ ইসরায়েলের রাষ্ট্রনীতি, কুকুর হামলা, যৌন নির্যাতনের চিত্র জাতিসংঘের প্রতিবেদনে