হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত ছাড়াল ৫২ হাজার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

গাজার একটি ত্রাণ সহায়তা কেন্দ্রে ফিলিস্তিনি শিশুদের ভিড়। ছবি: এএফপি

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ১৮ মাস ধরে। এর মাঝে অল্প কয়েক দিন যুদ্ধবিরতি থাকলেও বাকি সময়টাতে ইসরায়েলি বর্বরতা যেন ইতিহাস ছাপিয়ে একুশ শতকের সবচেয়ে নৃশংস হত্যাযজ্ঞে রূপ নিয়েছে। আর ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে এই ১৮ মাসে এখন পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রোববার সন্ধ্যার আগের ২৪ ঘণ্টায়) নিহত ৫১ ফিলিস্তিনির মরদেহ পৌঁছেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। এতে ১৮ মাস ধরে চলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে মোট ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ২৪৩ জনে।

মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিহতের সংখ্যায় প্রায় ৭০০ জনের মরদেহ অন্তর্ভুক্ত। এসব মরদেহের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্প্রতি শেষ হয়েছে। দৈনিক নিহতের সংখ্যায় পূর্ববর্তী হামলাগুলোর পর ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা মরদেহও রয়েছে।

গত ১৮ মার্চ আকস্মিক বোমাবর্ষণের মধ্য দিয়ে ইসরায়েল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করে। এরপর থেকে দেশটি গাজায় প্রতিদিন হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলি স্থলবাহিনী একটি বাফার জোন প্রসারিত করেছে এবং দক্ষিণের রাফাহ শহরকে ঘিরে ফেলেছে। তারা এখন গাজার প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।

ইসরায়েল গত প্রায় ৬০ দিন ধরে গাজার ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে খাদ্য ও ওষুধসহ সব ধরনের আমদানি থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, সরবরাহ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে এবং হাজার হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন করে শুরু হওয়া হামলা এবং কঠোর অবরোধের লক্ষ্য হলো—হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অঙ্গীকার করেছেন, হামাস ধ্বংস বা নিরস্ত্র না হওয়া পর্যন্ত এবং সব জিম্মি ফেরত না আসা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।

হামাস জানিয়েছে, তারা অবশিষ্ট ৫৯ জন জিম্মিকে (যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে) কেবল ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিনিময়েই মুক্তি দেবে। জানুয়ারিতে হওয়া এখনকার অকার্যকর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে এসবের আহ্বান জানানো হয়েছিল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত ফিলিস্তিনিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তবে কতজন যোদ্ধা বা বেসামরিক নাগরিক, তা উল্লেখ করা হয়নি। মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধে আরও ১,১৭, ৬০০ জন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েল গত মাসে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার পর থেকে মোট নিহতের সংখ্যায় ২,১৫১ জন এবং আহতদের সংখ্যায় ৫,৫৯৮ জন অন্তর্ভুক্ত।

ইসরায়েল বলছে, তারা প্রায় ২০,০০০ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে, তবে এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি। সামরিক বাহিনী বলছে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি এড়াতে চেষ্টা করে এবং হামাসকে তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে। কারণ হামাস যোদ্ধারা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কার্যক্রম চালায়।

ইসরায়েলের হামলায় গাজার বিশাল অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এর প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ নোংরা তাঁবু শিবিরে বা বোমা বিধ্বস্ত ভবনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫১ ফিলিস্তিনির মরদেহ পৌঁছেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে। এতে ১৮ মাস ধরে চলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে মোট ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২,২৪৩ জনে।

মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিহতের সংখ্যায় প্রায় ৭০০টি মরদেহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেগুলোর তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্প্রতি শেষ হয়েছে। দৈনিক নিহতের সংখ্যায় পূর্ববর্তী হামলাগুলোর পর ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা মরদেহও রয়েছে।

গত ১৮ মার্চ আকস্মিক বোমাবর্ষণের মধ্য দিয়ে ইসরায়েল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করে। এরপর থেকে তারা প্রতিদিন হামলা চালাচ্ছে। স্থলবাহিনী একটি বাফার জোন প্রসারিত করেছে এবং দক্ষিণের রাফাহ শহরকে ঘিরে ফেলেছে। তারা এখন গাজার প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।

ইসরায়েল গত প্রায় ৬০ দিন ধরে গাজার ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে খাদ্য ও ওষুধসহ সব ধরনের আমদানি থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, সরবরাহ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে এবং হাজার হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন করে শুরু হওয়া হামলা এবং কঠোর অবরোধের লক্ষ্য হলো হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অঙ্গীকার করেছেন, হামাস ধ্বংস বা নিরস্ত্র না হওয়া পর্যন্ত এবং সব জিম্মি ফেরত না আসা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।

হামাস জানিয়েছে, তারা অবশিষ্ট ৫৯ জন জিম্মিকে (যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে) কেবল ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিনিময়েই মুক্তি দেবে। জানুয়ারিতে হওয়া এখনকার অকার্যকর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে এসবের আহ্বান জানানো হয়েছিল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত ফিলিস্তিনিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তবে কতজন যোদ্ধা বা বেসামরিক নাগরিক, তা উল্লেখ করা হয়নি। মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধে আরও ১ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে, ইসরায়েল গত মাসে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার পর থেকে মোট নিহত ২ হাজার ১৫১ জন এবং আহত ৫ হাজার ৫৯৮ জন।

ইসরায়েল বলছে, তারা প্রায় ২০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে, তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি। দেশটির সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি এড়াতে চেষ্টা করে এবং গাজায় প্রাণহানির জন্য হামাসই দায়ী। কারণ, হামাস যোদ্ধারা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কার্যক্রম চালায়। ইসরায়েলের হামলায় গাজার প্রায় পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এর প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ নোংরা তাঁবু শিবিরে বা বোমা বিধ্বস্ত ভবনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন

পশ্চিম তীরে এক বছরে ১৫০০ বাড়ি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভাঙবে আরও ২৫টি

বৃষ্টি, বন্যা আর আবর্জনা: গাজাবাসীর অন্তহীন শীতের রাতের দুঃসহ বেদনা